রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের বিরূপ প্রভাব পড়বে মানুষের জীবনে। ‘রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের বায়ুর গুণমান, বিষাক্ততা ও মানবদেহের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যুর শিকার হবে। এ ছাড়া ২৪ হাজার শিশুও কম ওজন নিয়ে জন্ম নেবে। পাশাপাশি বায়ু দূষণে বাংলাদেশসহ কলকাতার বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবেন। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এ আন্তর্জাতিক গবেষণার প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
সুলতানা কামাল আরো বলেন, বিদ্যুতকেন্দ্রের ফলে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম নষ্ট হবে। সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা বাংলাদেশের খুলনা, অশোকনগর, কল্যাণগড়, সাতক্ষীরা, বেগমগঞ্জ, বশিরহাট, নরসিংদী, নোয়াখালী, বাসীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকণার প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে এতে শিশু ও বৃদ্ধরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্ট্রোক, ফুসফুসে ক্যান্সার, বয়স্কদের হৃদয়ন্ত্রের ও শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপসর্গের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দিবে এ বিদ্যুতকেন্দ্র ।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাপা সভাপতি আব্দুল মতিন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুন নাহার প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।