মাঠে গরু প্রবেশে নিষেধ করায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক মূল্যবান প্রজাতির গাছ। ঘটনাটি ঘটেছে রামুর রাজারকুল মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলে।
মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহছেন শরীফ জানিয়েছেন, সৌন্দর্য বর্ধন আর ছায়া নিবিড় পরিবেশের জন্য এক বছর পূর্বে বিদ্যালয়ের সম্মুখে রোপন করা হয়েছে কাঠ বাদাম, দেবদারু, কৃষ্ণচূড়া, রেইনট্রি, ক্রিসমাস, ঝাউ, বেল, বট সহ মূল্যবান ও বিরল প্রজাতির প্রায় অর্ধশতাধিক বৃক্ষ। রোপনের পর থেকে এসব বৃক্ষ রক্ষার জন্য সিমেন্টের তৈরী চাকা, বাঁশ, জাল ও কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হয়। ক্রমেই এসব বৃক্ষ বড় হয়ে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় শোভা বাড়াচ্ছিলো।
কিন্তু সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে রোপন করা এসকল বৃক্ষ কেটে দেয়। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান। তিনি জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়ে তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি নিজে প্রচেষ্টা চালাবেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাশেম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি জড়িত ৭জনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তরা হলেন, বশির আহমদ, জাফর আলম, আবদুর রহিম, মোক্তার আহমদ, কাদির হোছাইন, জালাল আহমদ ও গুরা মিয়া। তিনি আরো জানান, অভিযুক্তরা বিদ্যালয়ে মাঠে গরু ছেড়ে দিলে বিদ্যালয়ের গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সম্প্রতি তিনি তাদের ডেকে বিদ্যালয় মাঠে যাতে গরু না রাখেন বা না আসে সে জন্য সতর্ক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের সম্মুখে রোপন করা এসব বৃক্ষ কেটে দেয়।
গতকাল দুপুরে রামু থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ জানিয়েছে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।