নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়-বালু খেকো আবু তাহেরের ডেরায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১৫, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। রোববার কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের পানেরছড়া বিটের মরিচ্যা ঘোনা এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা। রোববার বিকালে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো.সারওয়ার আলম।
বনবিভাগ ও স্থানীয়দের সুত্র মতে, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পানেছড়া রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার নুর হোসেনের ছেলে আবু তাহেরের নেতুত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিল।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার যৌথ অভিযান চালায় প্রশাসন।
অভিযানে অংশ নেয়া পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত জানিয়েছেন, গতকাল রোববার র্যাব-১৫, রামু উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ পানেরছড়া বিটের মরিচ্যা ঘোনা এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত ১০০ ফুট লম্বা কালো হুস পাইপ, ২০ ফুট লম্বা থ্রেড পাইপ ও সাবমার্সিবল পাইপ মেশিনের মুখে অবস্থিত লোহার খন্ড জব্দ করা হয় এবং পাহাড় ধ্বংস এলাকা কর্ডন করে লাল ফ্লাগ দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, এছাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে একটি অবৈধ মিটার হতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, আবু তাহের একজন চিহ্নিত পাহাড়, বালু ও জবরদখলকারী। তার বিরুদ্ধে বন আইনের মামলা ছাড়াও রামু থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা করায় গত ২২ নভেম্বর পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা জলিলুর রহমানকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি লিখিত ভাবে বন আদালত রামুকে জানানো হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো বনবিভাগের পক্ষ থেকে হুমকির বিষয়ে অভিযোগ দেয়নি। নিশ্চয়ই অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, পাহাড় খেকো আবু তাহেরের বিরুদ্ধে খোঁজ নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।