২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাশিয়া পৌঁছেছে রুশ রাষ্ট্রদূতের মরদেহ

আততায়ীর গুলিতে নিহত তুরস্কে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভের মরদেহ মস্কো পৌঁছেছে। মঙ্গলবার বিকালে আংকারার এসেবোগা বিমানবন্দরে থেকে তার মৃতদেহ বহনকারী কফিন নিয়ে উড়ে যায় মস্কো থেকে পাঠানো বিশেষ একটি উড়োজাহাজ। এর আগে আংকারা থেকে কারলভকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ বিদায় জানায় তুরস্ক।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় তুরস্কের একটি আর্ট গ্যালারি পরিদর্শনের সময় দেশটির দাঙ্গা পুলিশে কর্মরত ছিলেন এমন একজন আততায়ীর গুলিতে নিহত হন কারলভ। সিরিয়ার আলেপ্পোতে চলমান সংঘাতে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণেই মেভলুট মার্ট আলটিনটাস নামের ২২ বছর বয়সী ওই আততায়ী কারলভকে আক্রমণ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ান এই কূটনীতিককে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে তুরস্ক বা রাশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও মন্তব্য করেনি।
মঙ্গলবার বিকালে কারলভের মরদেহ রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আনা হয় আংকারার এসেনবোগা বিমানবন্দরে। এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পতাকায় মোড়ানো ছিল তার মরদেহবাহী কফিন। বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ ছিল মস্কো থেকে পাঠানো একটি বিশেষ বিমান। ছয় তুর্কি সৈন্য গার্ড অব অনার দিয়ে ওই কফিন বহন করে নিয়ে যায় বিমানে ওঠানোর জন্য।

এর আগে আন্দ্রেই কারলভকে শেষ বিদায় জানাতে ছোট্ট একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজনে হাজির হন আংকারার শীর্ষ কূটনীতিকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী তুগরুল তুর্কস। তুরস্ক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলেও কারলভকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য রাশিয়ান অর্থোডক্স পাদ্রীদের উপস্থিতিতে প্রার্থনার আয়োজনও করা হয়।
এ সময় কারলভকে ‘তুরস্ক-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের শাশ্বত প্রতীক’ বলে বর্ণনা করেন তুগরুল তুর্কস। কারলভের মরদেহ বহনকারী বিমানটি মস্কো পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
২০১৩ সাল থেকে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন আন্দ্রেই কারলভ। সোমবার ‘তুর্কিদের চোখে রাশিয়া’ শিরোনামের প্রদর্শনীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় কারলভকে গুলি করা হয়। বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারী ‘আল্লাহ আকবর’ ও ‘আলেপ্পোর কথা ভুলে যেও না’ বলে চিৎকার করেছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কারলভকে হামলাকারী মেভলুট মার্ট আলটিনটাস-এর জন্ম ১৯৯৪ সালে। রুশ রাষ্ট্রদূতকে হত্যার পর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় আলটিনটাস।
এখনও পর্যন্ত আলটিনটাসের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়নি। তবে রাশিয়া ও তুরস্ক দুই দেশই এই হামলাকে ‘প্ররোচনা’ বলে অভিহিত করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘সন্দেহাতীতভাবে এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া’ ও ‘সিরিয়ায় শান্তি প্রক্রিয়া’ ব্যাহত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
আন্দ্রেই কারলভের হত্যার পেছনে মূল হোতা কে, তা খুঁজে বের করতে রাশিয়া ও তুরস্ক উভয় দেশই সম্মত হয়েছে। এ লক্ষ্যে রাশিয়ান তদন্তকারীরা তুরস্কেও পৌঁছেছেন মঙ্গলবার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।