একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে প্রধান নিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার শিশির মোহাম্মদ মনিরসহ অন্য আইনজীবীরা। তবে রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ৫ মার্চ মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামান। এক মাস পর গতকাল রোববার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিলো।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে আটক করে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। একই বছর ২ আগস্ট তাকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরে ওই বছরের ৬ জুন কামারুজ্জামান ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ওই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩ নভেম্বর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।
এরপর চলতি বছর আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। তবে কামারুজ্জামান আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে স্থগিত হয়ে যায় মৃত্যু পরোয়ানার কার্যকারিতা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।