রোহিঙ্গাদের অবৈধ টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধে ৮ দফা পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে ‘রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ/ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ উত্তর সংবাদ সম্মেলনে’ পরামর্শগুলো তুলে ধরে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। ইন্টারনেট সেবা বন্ধে পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গদের হাতে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক তাদের নিবন্ধিত সিম বিক্রয় করেছেন পাশাপাশি যেসব অপারেটর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রয় করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সকল প্রকার কর্পোরেট সিম বন্ধ করতে হবে।
পরামর্শে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত ও বৈধ এনজিও সমূহের কর্মরত ব্যক্তিদের সিম সক্রিয় রেখে বাকি সব সিমের সংযোগ নিষ্ক্রিয় করতে হবে। পূর্বের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবহৃত টেলিকম সেবা বুথ চালু রাখতে হবে।
পরামর্শে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ ও সীমান্ত ওপারে নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে হবে। ৭ কার্য দিবসে বিটিআরসির নির্দেশনা কেন বাস্তবায়ন হলো না, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
লিখিত পরামর্শে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো গাফিলতি থাকলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্বাহী হাকিম দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যায় কি না এ ব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের মহাসচিব অ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক, সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আলতাব, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় উন্নয়ন পার্টির সভাপতি মাহাবুব খোকন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ, শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।