কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ উত্তর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে গণকবর উদ্ধার, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরির খবরে নিরাপত্তা পরিষদের কিছু সদস্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক আলোচনায় এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও দুর্গত রোহিঙ্গাদের কাছে নির্বিঘ্নে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু সদস্য রাষ্ট্রের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদে কুয়েতের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের ওপর এ বছরের প্রথম উন্মুক্ত সভা বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারে প্রয়োজনীয় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশটিকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষে শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকা বক্তব্য রাখেন।
ওই সভায় নিরাপত্তা পরিষদের পনের সদস্য রাষ্ট্রের সবাই প্রায় সাত লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশ মিয়ানমারে আটক রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের আটকাদেশ ও হয়রানি বন্ধের জন্য জোরালো আহ্বান জানান।
কয়েকটি সদস্য দেশ আগামী মাসগুলোতে তাদের নিজ নিজ সভাপতিত্বের সময় মিয়ানমার পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা পরিষদের কার্যতালিকায় রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।