নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু দুষ্ট ব্যক্তি অন্যায় কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এই জমি সরকারের। কিছু লোকের হয়ত: নিজস্ব মালিকানার জমি আছে। তবুও আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টা অমানবিক। রোহিঙ্গাদের সাথে যেন সবাই মানবিক আচরণ করে। সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
উখিয়া কলেজ মাঠে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নিয়ে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সহায়তায় নিয়োজিত ৬৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রহমান এ কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, নারী-শিশু পাচারকারীরা সব সময় সক্রিয়। তাই নারীদের ইজ্জত রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। এছাড়া দখল বিক্রিসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জনপ্রতিনিধিদের নামও আছে। অতীতে কিছু থাকলেও এখন থেকে মুছে ফেলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সব সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না, মাঝে মধ্যে মানবতাকেও সম্মান করতে হবে। কিভাবে ভাবে এদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা যায় সে ব্যাপারে সেনাবাহিনী সহ জনপ্রতিনিধিদেরও যৌথ উদ্যোগে দায়িত্ব পালনের কথাও তিনি বলেন ।
তিনি আরো বলেন, যান চলাচল যেন বাধাগ্রস্থ না হয় সে জন্য অন্তত: রাস্তার ১শ গজের মধ্যে রোহিঙ্গা বসতি করা যাবে না। আর রোগবালাই যেন ছড়াতে না পারে। সে জন্য রোহিঙ্গা শিবিরে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতেও সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ সময় তিনি অন্তত: প্রতি সপ্তাহে একবার করে সমন্বয় সভা করার কথাও বলেন। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে এবং গাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণসহ যানজট নিরসনে বাজার ইজারাদার, পরিবহন সংগঠন গুলোর সাথে মিটিং উদ্যোগের কথাও বলেন তিনি।
কিছু গাড়ী ফেরত দেয়ার বিষয়ে লে. কর্ণেল রাশেদ হাসান বলেন, শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের দেখার জন্য প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ত্রাণবাহী কোন গাড়ী বা ব্যক্তিদের কিন্তু ফেরত দেয়া হচ্ছে না। বিপদগ্রস্থ লোকদের দেখতে আসার নামে অযথা যানজট সৃষ্টি করছে অনেকে। এগুলো নিরসনে কাজ করছে সেনাবাহিনী। আর অসৎ উদ্দেশ্যে আসা লোকজনদের প্রতিও নজরদারী বাড়ানো হযেছে।
বৈঠকে লে. কর্ণেল রাশেদ হাসান, উখিয়া কলেজে স্থাপিত ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো: রাশেদ আকতার এসপিপি, জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সহ ৫ ইউনিয়নের ইউ.পি সদস্য পুরুষ ও মহিলা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।