হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সহিংসহার জের ধরে, প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ রোববার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে- বিজিবির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মজলুম। তারা নির্যাতিত। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে জোরালো কুটনৈতিক তৎপরতা চলছে। শীঘ্রই মিয়ানমার সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছেন। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আবাসন, অন্ন বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। তাদের সাথে মানবিক আচরণ অটুট থাকবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লাখ-লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন- মিয়ানমারের কোন সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হবেনা। অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবকিছু করা হচ্ছে।পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
এ সময় সীমান্তে অবস্থান নেওয়াদের মধ্য থেকে ১৮শ রোহিঙ্গা পরিবারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রাণ বিতরন করেন। পরে তিনি উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো.আবুল হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. এ,কে এম ইকবাল হোসেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মঞ্জুরুল হাসান খান, উপ অধিনায়ক ইকবাল আহমদ, ব্যার ৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন,ব্যার ৭ কক্সবাজারসস্থ কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরোয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।