বিশেষ প্রতিবেদকঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে স্বাস্থ্য, পয়:নিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্যাম্প গুলোতে ৩৫ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার এবং দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো বাকী ল্যাট্রিন নির্মাণে কাজ করছে। বিদ্যুাতায়নের আওতায় আনা হয়েছে পুরো ক্যাম্প।
বুধবার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্লক পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ৪টি ব্লক পরিদর্শন করেন।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ব্লকে হাসপাতাল করার চিন্তা করছে সরকার। এ পর্যন্ত ৬৫৩ জন গর্ভবতী মহিলা নিরাপদে সন্তান প্রসব এবং ৯ হাজারের বেশি গর্ভবতী স্বাস্থ্য সেবা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী-শিশু সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য।
মন্ত্রী নলকূপ স্থাপনের কাজ নিভীড় ভাবে পর্যবেক্ষন করেন। এ সময় তিনি বলেন, রোগের পাদুর্ভাব রোধ করতে যেখানে সেখানে ল্যাট্রিন স্থাপন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন ব্লক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী, ব্লক ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কথাও বলেন এবং যেখানে সেখানে উপাসনালয় না করে পরিকল্পিত ভাবে স্থাপনা তৈরির নির্দেশ দেন।
ক্যাম্পে ব্লক পরিদর্শনের পূর্বে মন্ত্রী ত্রাণ সহায়তায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প উখিয়া কলেজে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর ত্রাণ সংরক্ষণাগার ও কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই বলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। পড়া-লেখা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে কলেজে অবস্থান নেয়া সেনা ও বিজিবি সদস্যদের অন্য জায়গা স্থানান্তরের বিষয়ে চিন্তা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, উখিয়া কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুল করিম, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর ম্যানেজার লামহা ভাইসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুলসহ সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।