কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা এখনও ভয়াবহ নির্যাতন ও প্রাতিষ্ঠানিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। জাতি, ধর্ম ও বর্ণের কারণে তাদের ওপর ভয়াবহ আকারে এ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এসব কথা বলেছে ইসলামিক দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি। ওআইসির ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্মানেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশন (আইপিএইচআরসি) বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করার পর এসব কথা বলেছে। তিন দিনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন শেষে তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা জাতি নিধন ও মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। এতে বলা হয়, ওআইসির আইপিএইচআরসি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে রাখাইনে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বার বার অনুমতি চায়। কিন্তু তারা কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয় নি। ফলে তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবিরগুলো পরিদর্শন করে। এ সময় অন্যদের সহযোগিতা নেয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবিরগুলো ঘোরার পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস নির্যাতন, অকল্পিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কড়া নিন্দা জানায়। বলা হয়, সেখানে ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের বিচারে ভয়াবহ বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গারা। তাদের নেই কোনো আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার। তাই ওআইসির আইপিএইচআরসি মিয়ানমার সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে। একই সঙ্গে নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের শিকড় সন্ধানে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষায় তাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণে যে যা পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে। আহ্বান জানানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য সার্বিক মানবিক সহায়তার। মিয়ানমারের ভিতরে যেসব রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং যারা নৃশংসতা থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হয়েছেন তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।