২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

রোহিঙ্গা চাপে উখিয়া দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতি

এম.এস রানা,(উখিয়া): বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম রোহিঙ্গা সমস্যা। মায়ানমার সরকার কতৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার চাপে নাকাল অবস্থা বিরাজ করছে উখিয়া টেকনাফে। ১৯৭৮ সাল হতে ধাপে ধাপে এ দেশের অভান্তরে প্রবেশ করে ইতি মধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে এলাকার পরিবেশকে অতিষ্ট করে তুলেছে। এ অঞ্চলের সাধারন নাগরিকের কাছে রোহিঙ্গা বলতেই মস্ত বড় এক বোঝা দাড়িয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে গনহারে রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় এ অঞ্চলের চাল, ডাল,মাছ, মাংস, তেল, নানা তরী তরকারি সহ নিত্য পন্যের মুল্যে আকাশচুম্বি। বিশেষ করে উখিয়া টেকনাফের খেটে খাওয়া মানুষ বর্তমানে দ্রবমুল্যের উর্ধগতিতে দিশেহারা। রোহিঙ্গা প্রবেশের বিশ দিনে যেন প্রতিটি পন্যের মুল্য ২০ টাকা বৃদ্বি পেয়েছে।
উখিয়া দারোগা বাজার কোটবাজার, মরিচ্যাবাজার সোনারপাড়া বাজার, বালুখালী বাজার, পালং খালী বাজার, কুতুপালং বাজার সহ ছোট বড় সকল বাজারের সবজি দোকান গুলোতে আগুনের ঝাপটা লাগছে ক্রেতাদের পকেটে। সরজমিনে দেখা যায় পাহাড়ি ও . স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে তার দাম আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা বলছে এলাকায় রোহিঙ্গাদের বাড়তি চাপ থাকায় বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে বর্তমানে এ অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার কারনে মুল্য বৃদ্বি হয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পুর্বে পাইকারি বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাম অয়েল এখন ৭৮ টাকা,খুচরা বাজারে তা অনেক বেশি। সয়াবিন ৮৫ থেকে ৯২, মোটা আলু ১৩থেকে ২২, চিনি ৫২ থেকে ৫৭, মটর ডাল৩২থেকে ৪০, মোগডাল ১০৫ থেকে ১১৫, ছোলা ৭২থেকে ৭৭,পেয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫, রসুন ৭০থেকে৮০, আদা ১০০ থেকে ১১৫ টাকায় এসে দাড়িয়েছে, যা খুচরা বাজারে অনেক বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও সব ধরনের চাউল প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।  দেশী করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০/৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, তিত করলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ২৫ টাকা, কাচা মরিচ ১৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, টমোটো ১৩০ টাকা, মুলা ৬০/৭০ টাকা,,  ডেড়স ৮০ টাকা চিচিংগা ৪০ টাকা, পাহাড়ি শশা ৪০ টাকা, কচু ৩৫ টাকা,ক্ষীরা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  বর্তমানে কিছু কিছু পন্যের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও রোহিঙ্গাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে বাড়তে পারে সকল ধরনের পন্যের দাম।
কোটবাজারের তরকারি ব্যবসায়ী নুরুল আলম ও ছৈয়দ আলম বলেন, উখিয়ায় দুই লক্ষাধিক স্থানীয় বাসিন্ধার সাথে যোগ হয়েছে মায়ানমার থেকে আসা প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার কারনে তরী তরকারি সহ নিত্য খাদ্য সামগ্রীতে মারান্তক প্রভাব পড়েছে। তাছাড়াও মৌসুমী শাক সবজি বাজারে না আসার কারনেও মুল্য বৃদ্বির অন্যতম কারন বলেও তারা মন্তব্য করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।