বানের পানির ন্যায় মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় দিন দিন অসস্তিকর হয়ে উঠছে উখিয়া টেকনাফের মাটি। দুই দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন ঢুকছে অবৈধ রোহিঙ্গারা।
বিনা বাধাঁয় হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সাীমান্তবর্তী জেলা সমুহে প্রবেশের কারনে জেলা গুলোতে আইনশৃ্ংঙ্কলা মারাত্মক ঝুকিঁপুর্ন হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উখিয়া টেকনাফ গ্রাম অঞ্চল রোহিঙ্গাদের আবাস ভূমিতে পরিনত হচ্ছে আশংকাজনক হারে।
মায়ানমারের মুসলিম নাগরিক রোহিঙ্গারা এ দেশে প্রথম শরনার্থী হযে প্রবেশ করে ১৯৭৮ইং সনে তৎকালিন বি এন পি সরকার আমলে, তখন দুই দেশের সামাঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গারা স্বদেশ ফেরত গেলেও অনেক রোহিঙ্গা দেশের অভ্যান্তরে লুকিয়ে পড়ে রয়ে যায়। পরবর্তিতে ১৯৯১ সালে বি এন পি সরকার গঠন করার পর পুনরায় জোয়ারের পানির শ্রুতের ন্যয় রোহিঙ্গ অনুপ্রবেশ করে সয়লাব হয়ে যায় উখিয়া টেকনাফ। প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা দুই উপজেলার বিভিন্ন জায়গাতে শরনার্থী ক্যাম্পে রাখা হয়। তৎমধ্যে এখনো দেড় লক্ষধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ নায়া পাড়া ও উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে রয়ে গেছে। এত দির্ঘ সময় রোহিঙ্গারা এ দেশের অভান্তরে বসবাস করার ফলে অধিকাংশ রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন উপজেলা / ইউনিয়নে শেকড় গজিয়ে ফেলেছে। ব্যবসা বানিজ্য, গাড়ি ড্রাইভার হেলপার, ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, বিভিন্ন টেকনেশিয়ানের কাজ, ব্যবসা প্রতিষ্টানে ও মসজিদ মাদরাসায় চাকরি সহ সবক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের বিচরন উদ্দে্গ জনক। এ ছাড়াও এলাকার কিছু অসাধু জন প্রতিনিধির সহযোগিতায় জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ পুর্বক বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে বুক ফুলিয়ে বসবাস করে আসছে নির্ভিগ্নে। তারা ভোঁয়া আই ডি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর সীম কার্ড সংগ্রহ করে অবাধে ব্যবহার করে যাচ্ছে, যা দেশের সাধীন সার্বভৌমত্বের জন্য মারান্তক হুমকি।
মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের বিরোদ্বে হাজারো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগের সংখ্যা কম নয,।
রোহিঙ্গারা মায়নমকরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিবাসী হওয়ার কারনে শিক্ষার আলো যথাযত না পাওয়ার করনে সাধারন জ্ঞান থেকে রয়েছে অনেক দুরে, যার কারনে শরনার্থী হয়েও এ দেশের প্রশাসন সহ সাধারন নাগরিকের সাথে রয়েছে তুলনামুলক পার্থক্য।
রোহিঙ্গা আসার পর থেকে কক্সবাজার জেলা সহ দেশের আনাচে কানাচে রোহিঙ্গা ভিত্তিক অপরাধ আশংকাজনক হারে বৃদ্বি পেয়েছে। এলাকায় খুন, চুরি ডাকাতি ছিনতাই, রাহাজানি, পতিতা বৃদ্বি সহ নানান অপরাধ বেড়ে চলছে। এরই মধ্যে নতুন করে রোহিঙ্গা আগমনে উখিযা টেকনাফে দ্রব্যমুল্যের উপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে, বেড়ে গেছে তরী তরকারি,চাল, মাছ,মাংস,ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মুল্য আকাশ ছোঁয়া, বৃদ্বি পেয়েছে অপরিচিত লোকজনের আনা-গোনা ও রোহিঙ্গা ভিক্ষুকের স্ংখ্যা। এলাকার শত শত একর সরকারি বনভুমি বেদখল হয়ে গেছে রোহিঙ্গাদের কাছে। বনাঞ্চলের সবুজ বৃক্ষ নিধন করে, পরিবেশে ভারসম্য রক্ষাকারি পাহাড় কেটে বসতভিটা বানিয়ে বসবাস করে আসছে বিনাবাধাঁয় গত বছর টেকনাফ নয়া পাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের আনসার কোয়াটারে হামলা চালিয়ে হত্যা করে এক আনসার সদস্যকে, লুট করে নিযে যায় বিপুল পরিমান অস্ত্র। এ সবের মূলেই ছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দল। গত ৪ ডিসেম্বর কুতুপালং এলাকায় রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ১৫ জন বনকর্মি, এ সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মারান্তক মরনাস ব্যবহার করে তাদের উপর। সম্প্রতি রেপিট এ্যাকশন ব্যটলিয়ান কুতু পালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুদর্ষ তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কে আটক করার পর তাদের স্বীকারোক্তি মতে নাইক্ষংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গহীন অরন্যের পুরান পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্র ও বিপুল গুলাবারুদ উদ্বার করে। উদ্বার কৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ নয়া পাড়া আনসার ক্যাম্প হতে লুট হওয়া ৫টি অস্ত্র।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্হা ( আইওএম) এর জরিপে গত ৩ মাসে ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে পালিয়ে দেশে আশ্রই নিয়েছে,, কিন্তু রোহিঙ্গাদের গন জোয়ার বলে দিচ্ছে এ সংখ্যা লাখের উর্ধ্বে, শুধু মাত্র টেকনাফ লেদা শরনার্থী ক্যাম্প ও উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে নতুন ককরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাড়াবে ৫০হাজারের অধিক। সদ্য অনুপ্রবেশকৃত অধিকাংশ রোহিঙ্গা চলে গেছে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা গুলো সহ দেশের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে পড়ছে, যে খানে আগে থেকেই অবস্হান করছে তাদের স্বজনেরা। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভোঁম রাষ্ট্র, কারও দয়ায় এদেশ এমনি এমনি আসেনি, অনেক ত্যাগেরর বিনিময়ে অর্জিতএ স্বাধীনতা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ছিনিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ব করতে হয়েছে। চলে গেছে ৩০ লক্ষ বাংলা মায়ের দামাল সন্তানের তাজা প্রান। বিসর্জন দিতে হয়েছিল ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত, সুতারাং এই দেশ বহিরাগত একটি গোষ্টির সন্ত্রাসী কতৃক অসস্হিকর পরিস্হিতির সম্মুখিন হবে এটা স্বাধীন দেশের সু-নাগরিকরা চায না। মায়ান মারের রোহিঙ্গা নাগরিক রা মুসলিম হওয়াতে স্বভাবিক ভাবে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা ও সহানভুতি থাকবে এবং আছে, কিন্তু আমাদের সমাজ রাষ্ট্র, সার্বভৌমত্বের স্বার্থ কে বিষর্জন দিয়ে নয়।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী সভাপতি সাকের উদ্দিন সাগর বলেন,
রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর মায়ানমার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন অর্তান্ত দুংখ্যজনক, মুসলিম হিসেবে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক তাদের উপর বর্বরোচিত অমানবিক নির্যাতন বিরুদ্বে বিশ্ব বিবিক কে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আমাদের দেশে তাদের অবাধ বিচরন কখনো সুখর নয়। এক শ্রেনীর সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নিকট রোহিঙ্গা আগমন আশির্বাদ হলেও দেশের জন্য অভিশাপ। রোহিঙ্গাদের গনজোয়ারে কক্সবাজারের মাটি জন স্ংখ্যার ভারে নুয়ে পড়েছে, বিভিন্ন অসমাজিক কর্মকান্ড বৃদ্বির অশনি স্ংকেত দিচ্ছে সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আচরনে।
বাংলাদেশের অভান্তরে যে ভাবে ভিন দেশী নাগরিকরা বিনা বাধাঁয় বিচরন করে থাকে, সে ভাবে আর কোন দেশে হয় না। সরকারের উচিত স্বাধীনতার পর থেকে ধাপে ধাপে আগত ও বিভিন্ন স্হানে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে বসবাস করা অবৈধ রোহিঙ্গাদের চিহৃিত করে শরনার্থী ক্যাম্প স্হাপনের মাধ্যমে জড়ো করে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো, তাহলে এ দেশের বুক থেকে জনসংখ্যার ভার অনেক অংশ কমে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।