এইচ.কে রফিক উদ্দিনঃ
রোহিঙ্গা ডাকাতের ভয়ে দরিদ্র কৃষক তার একমাত্র সহায়-সম্পদ মাঠের ধান যখন ঘরে আনতে হিমসিম খাচ্ছিল তখন ঠিক সেই মুহুর্তে তার পাশে এগিয়ে এসেছে এবিএম আবুল হোসেন রাজুর নেতৃত্বে টেকনাফ উপজেলা কৃষক লীগ।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াক্যং ইউনিয়নের কান্জর পাড়া লোকালয় থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে (পুঠিঁ বনিয়া)কৃষক আব্দু সত্তারের খামারবাড়ি সেখানে তিনি পাচ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করে যেখানে জীবিকার তাগিদে রক্ষণাবেক্ষণ করতেন।
কিন্তু গত কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গা ডাকাত তার খামার বাড়ি পাশে অপর একজন স্থানীয় শ্রমিককে হত্যা করার পর তাকে তাড়িয়ে দেই খামার বাড়ি থেকে।
তখন কৃষক আব্দু সত্তার ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন, পরে তা টেকনাফ কৃষক লীগকে অবগত করেছেন।
বুধবার (৬ মে) খবর পেয়ে কৃষকলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী কৃষকের খামারবাড়ি (দুর্গম পাহাড়ি এলাকা) ডাকাত দলের আস্থানায় গিয়ে ধান কেটে ড্রাম ট্রাক করে বাড়িতে পোছেঁ দিয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এবিএম আবুল হোসেন রাজু, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, সহ-সভাপতি আব্দু শুক্কুর কোম্পানি ও ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্বে কান্জর পাড়ার পাচঁ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগ নেতারা এই কার্যক্রমে অংশ নেয়।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দল বেঁধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান কাটেন তারা। পরে জমি থেকে ধান নিয়ে গিয়ে ওই কৃষকের উঠানে ড্রাম ট্রাক করে পোঁছে দেন।
মহামারি করোনাকাল ও ডাকাত দলের আতংক এড়িয়ে কৃষক লীগ-কর্মীদের এমন সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন কৃষক আব্দু সত্তার।
দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অসহায় কৃষকের পাশে এগিয়ে আসা কৃষক লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
কৃষক আব্দু সত্তার আরো বলেন,একদিকে রোহিঙ্গা ডাকাতের ভয়, অন্যদিকে ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে জমির পাকা ধান কাটা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আমার হাতে টাকাও ছিল না। এমন অভাবের দিনে পাঁচ বিঘা জমির ধান কাটা ও বাড়ি নেওয়া মাড়াই করতে অনেক টাকা লাগত। সেই খরচ করার মতো এখন আমার সামর্থ্য নেই। আমার দুর্দিনে টেকনাফ উপজেলা কৃষক লীগ এগিয়ে এসেছে,
তাই আমি টেকনাফ উপজেলা কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।