মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুলে নেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কারণ মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত না হওয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এ কথা বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ ডেভিড এন. স্যাপারস্টিন।
আমেরিকান সেন্টারে কয়েকটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডেভিড স্যাপারস্টিন আরও বলেন, আমাদের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মূল উদ্বেগের ইস্যু। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ তরফ থেকে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ২০১২ সালে আমরা মৌলিক মানবাধিকারের কথা বলেছি। এখন সে কথাই বলছি। আমরা মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা ইস্যুর সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যু জড়িত রয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
ডেভিড স্যাপারস্টিন বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা দেখার জন্যে রোববার ঢাকায় আসেন। এই সফরকালে তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মার্কিন এই বিশেষ দূত কক্সবাজারে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে রামুতে ইতিপূর্বে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেন। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয় মনিটর করে থাকে এবং এ বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।