২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সব দেশের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সমুদ্রে নৌকায় ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের ফোনে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ইতোমধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ৫০০ রোহিঙ্গা সে তুলনায় অতি সামান্য। তারা এখন বাংলাদেশ সীমানায় নেই। মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করা হলেও এ এলাকার অন্যান্য দেশকে আশ্রয় দিতে বলা হয়নি। যুক্তরাজ্যের রয়েল জাহাজ এসেও তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দিতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে বলেন তিনি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের‌ দেশে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়া।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর উচিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে এগিয়ে আসা। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ওপরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের দায়িত্ব বর্তায়। মিয়ানমারে এখনও সামরিক অপারেশন চলছে এবং রোহিঙ্গারা মারা যাচ্ছে। কিছু দিন আগেও তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। তারপরও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারে বিনিয়োগ করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ বিষয়ে সোচ্চার নয়।

বাংলাদেশের বহু লোক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি হারিয়ে খাবারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বের উচিত মানবিক কারণে তাদের চাকরিতে বহাল রাখার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া। যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা যাতে গার্মেন্ট খাতে বাংলাদেশে ক্রয় আদেশ বাতিল না করেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, ক্রয় আদেশ বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাত সমস্যাসংকুল। বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে ক্রয় আদেশ বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যকে বিশেষ ফান্ড গঠনের অনুরোধ করেন তিনি।

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যকে করোনা প্রতিরোধে উপহার হিসেবে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোয় বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আহমেদকে অবহিত করেন। এর জবাবে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।