সিয়াম মাহমুদ সোহেলঃ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের সরব উপস্থিতি বেড়েছে। গত ৪ দিন ধরে পর্যটকের পদচারণায় দিনভর মুখর থাকছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছেন তারা। সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি প্রিয় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত অনেকেই।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, এক সপ্তাহের জন্য শহরের ৪৫০টির বেশি হোটেল, মোটেল ও কটেজের প্রায় সব কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৩ লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আরও পর্যটক আসতে পারে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি হয়রানি রোধে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছেন বলে জানান কক্সবাজারেরর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, হোটেল-মোটেলে কোনো পর্যটকের কাছ থেকে অতিরিক্ত কক্ষ ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার বিকালে সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। বৈরী আবহাওয়া আর থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
দীর্ঘদিন প্রচণ্ড গরম থাকার পর এ বৃষ্টি পর্যটকের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। বরং এ বৃষ্টিতে আবার অনেকে বাড়তি আনন্দও পাচ্ছেন। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত,পাহাড়ী ঝর্ণা হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজার ঘুরতে আসা পর্যটক রাশেদ, মনিকা, সোহাগ ও শিল্পী রানী বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার এসে খুব ভালো লাগছে। বৃষ্টি আর সাগর আমাদের একাকার করে দিচ্ছে। ঈদকে খুব উপভোগ করছি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ইকবাল হোসাইন বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটন স্পটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজে ৩ লক্ষাধিক পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োজিত আছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।