লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাপেরগাড়া মার্মা পাড়া গ্রামে শতবছরের পুরানো উপজাতি সম্প্রদায়ের শ্মশানের জায়গা দখলে নিয়ে একটি চক্র সেখানে অবৈধ বসতি নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় স্থানীয় পাড়ার কারবারি উহ্লাচিং মার্মা বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী আদালতে দখলবাজ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি এমআর মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে শ্মশানের জায়গা দখলের এ ঘটনায় পাহাড়ি ও বাঙ্গালিদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি সংঘাতের আশংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগে স্থানীয় পাড়ার কারবারি উহ্লাচিং মার্মা বলেন, ফাসিয়াখালী সাপেরগাড়া এলাকায় ১১৮টি মার্মা পরিবার ফাসিয়াখালী মৌজার ২১নং সিটের ৬৪৮২ দাগের খাসজমি শতবছর ধরে শ্মশানের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে পাশের ঈদগড় মৌজার বাসিন্দা একাধিক মামলার আসামি সামসুল আলম ওরফে ডাকাত সামসু, তার সহযোগি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর আমির হোসেন, ফরিদুল আলম, বার্মাইয়া করিম উল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি দখলবাজ চক্র কৌশলে পরস্পর যোগসাজস করে শ্মশানের জায়গাটি দখলে নেয়।
পাড়ার কারবারি উহ্লাচিং মার্মা দাবি করেন, শ্মশানের জায়গা দখলের ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করলে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক বিবাদি পক্ষের বিরুদ্ধে শ্মশানের জমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে ইতোমধ্যে অভিযুক্তরা সেখানে একটি অবৈধ বসতি নির্মাণ করেছে।
মামলার বাদি উহ্লাচিং মার্মা জানান, ১৪৪ ধারা আদেশ লংঘন করে শ্মশানের জায়গায় অবৈধ বসতি নির্মাণের বিষয়টি আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হলে গত বুধবার তাৎক্ষনিক আদালতের বিচারক ঘটনাস্থল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন লামা থানার এসআই কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে প্রথমে দুইপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়ে স্থিতিবস্তা বজায় রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু বুধবার আদালত অপর একটি চিঠিতে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে বিবাদিপক্ষ জোরপুর্বক একটি বসতঘর নির্মাণ করেছে। তাই দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি যাতে সংঘাতের দিকে না যায় সেইজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।