রায়হান সিকদার,(লোহাগাড়া): লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের অনুদানে উত্তর চরম্বা মিয়াজান কাজির পাড়া জামে মসজিদে টাইলস নির্মাণ করায় জামায়াত নেতা ও চরম্বা ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন ও মাষ্টার এরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে মসজিদের টাইলস ভাংচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় এই ঘটনাটি ঘটে। জসিম উদ্দীন একজন জামায়াত নেতা ও স্হানীয় ইউপি সদস্য বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় নাশকতা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭/৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রাতে চরম্বা ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল আলম বাদী হয়ে জামায়াত নেতা জসিমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম উক্ত প্রতিবেদককে জানান, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতার আর্থিক অনুদানে মসজিদ নির্মাণ কাজ করায় বিভিন্ন সময়ে এ নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ঘটনার দিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি দলবল মিলে রাতের আধাঁরে তালা ভেঙ্গে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে আ.লীগ নেতা ফরিদুল আলমের আর্থিক অনুদানে মসজিদের মেঝেতে লাগানো ২ হাজার ফুট টাইলস ভাংচুর করে এবং মসজিদের ভেতরে মওজুদকৃত আরো ২ হাজার ফুট টাইলস ও সিমেন্ট চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে সুত্রে প্রকাশ।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনার পরদিন বুধবার দুপুরে লোহাগাড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্হর পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীনকে প্রধান আসামীকে করে ১১জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহজাহান পিপিএম বলেন, চরম্বা কাজির পাড়া মসজিদের টাইল্স ভাংচুরের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করতে এসআই আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম পাঠিয়েছি। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগও আমার হাতে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে। চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার আর্থিক অনুদানে মসজিদ নির্মাণ হওয়ায় জামায়াত-শিবিরের লোকজন সহ্য করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে জসিম উদ্দীন হেলালীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত প্রতিবেদককে বলেন, গত ২০০১ সালে ৫ হাজার টাকা কজ্ব মাথায় নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ২৫/২৬ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে মসজিদ পূণঃ নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি।
তিনি আরো জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের মামলা-হামলা করে হয়রানী করে আসছে। এক সপ্তাহ আগে মসজিদের মেঝেতে টাইল্স লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই সংঘবদ্ধ চক্র রাজনৈতিক ফায়দা ও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে মসজিদের টাইলস নষ্ট ও চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
টাইল্স ভাংচুরের ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমি রাজনৈতিক প্রতিসিংহার শিকার। পরিকল্পিতভাবে আমাকে এ ঘটনায় জড়ানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।