চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী মোটর ষ্টেশনস্থ পিপলস মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর বিরুদ্ধে এক গ্রাহকের চেক প্রতারনা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব হাজার বিঘা ভেলুয়ার পাড়া এলাকার মৃতু মফিজুর রহমানের পূত্র নজির আহমদ (৫৩) নামের এক গ্রাহক বিগত ৬/৬/২০১২ সালের উল্লেখিত মাল্টি পারপাসে লাভের আশায় ৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ হওয়ার পর উক্ত লাভের টাকাসহ উল্লেখিত অফিসে গেলে তালা ঝুলা অবস্থায় দেখা গেছে। অফিসে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। চেক প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের শিকার হওয়া গ্রাহক আলহাজ্ব নজির আহমদ উক্ত প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন বিগত ২০১২ সালে মোটা অংকের লাভ দেখার কারণে পিপলস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির লিঃ ৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করি। উক্ত মাল্টিপারপাসের পরিচালক আমিরাবাদ দর্জি পাড়ার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র আহমদ শফি (৪৮), চট্টগ্রাম কর্ণফুলী সিএমপি শিকলবাহা এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র উক্ত মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান জহির উদ্দীন মোঃ বাবর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহিম এর মালিকানাধীন এর প্রতিষ্ঠান অধীক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে আমার টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। লোহাগাড়ায় সদরস্থ বটতলী মোটর ষ্টেশনে তাদের অফিসে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়না। অফিসের দরজায় বড় বড় তালা ঝুলা অবস্থায় দেখা যায়। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বটতলী মোটর ষ্টেশনে আরো কয়েকটি মাল্টিপারপাস সম্প্রীতি সময়ে মানুষকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লাক লাক টাকা আত্মসাৎ করে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্ত মাল্টিপারপাসের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ রকম টাকা আত্মসাৎকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। অন্যদিকে উক্ত মাল্টিপারপাসের অফিসে পরিচালক, কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসে গেলে তাদের অফিস বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।