লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুৃখছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ এয়াকুব সুমন(৩০) উত্তর কলাউজান লেইঙ্গা পুকুর পাড় এলাকার নিজ শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে এসে বাড়িতে যাওয়ার পথে দরবেশহাটস্হ লতিফ বিল্ডিং এলাকায় গত ৩০জুন রাত আনুমানিক ৮টায় ইয়াবা বিক্রি কালে লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোহরাওয়ার্দী সরওয়ারের হাতে ধৃত হয়। লোহাগাড়া থানার মানবপ্রেমী ওসি শাহজাহান পিপিএম(বার) সুমনের স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তানদের কান্না দেখে আবেগ আপ্লুত হন।পরবর্তীতে ইয়াবা সেবনকানী সুমন ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করবেনা বলে ওয়াদাবদ্ধ হন।১জুলাই বাদে আছর লোহাগাড়া থানা জামে মসজিদের নামাজ আদায়ের পর সুমন ইয়াবা সেবন করবেনা এই ওয়াদা নিয়ে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আজিম তাকে তওবা করান।তওবা শেষে লোহাগাড়া থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার) সুমনকে নামাজ আদায়ের জন্য একটি টুপি ও জায়নামাজ প্রদান করেন।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোহরাওয়ার্দী সরওয়ার,বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ সাংবাদিক মাওলানা আবদুল জব্বার ফিরোজী,সাংবাদিক রায়হান সিকদার,
কলাউজান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব সওদাগরসহ থানার কর্মরত কর্মচারীবৃন্দ।মাদকসেবী সুমন উক্ত প্রতিবেদককে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানবসেবন ও বিক্রয় করতেন।পরবর্তীতে তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং শপথ নিয়েছেন।তিনি আরো জানান,রং মেস্ত্রীর কাজ করে তার স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে দিনাতিপাত করবেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।সুমন ভাল পথে ফিরিয়ে আসতে পেরে লোহাগাড়া থানার ওসি শাহজাহান পিপিএম(বার) ও থানার সেকেন্ড অফিসার সোহরাওয়ার্দী সরওয়ারকে কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।