‘হাসপাতালের চিকিৎসকরাও দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন। তারাও ভয় পান। কারো কাছে প্রকাশ করতে পারি না। মনে অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি। পরিবারের সঙ্গে থাকলেও আত্মীয়স্বজনদের বলতে পারছি না। জীবিত থেকেও মৃত।’ কথাগুলো বলেছেন শাহিনা আক্তার (ছদ্মনাম)। বয়স ২৮। ২০১২ সালে তার এইচআইভি পজেটিভ ধরা পড়ে জর্ডানে। কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন সেখানে। যাওয়ার সাত দিনের মাথায় ফিরে আসেন দেশে। নারায়ণগঞ্জের এই যুবতী এর আগে তার পূর্বের স্বামীকে তালাক দেন। তিনি জানান, ১৮ বছর বয়সে অভাবী সংসরের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে যান যশোর। সেখানে একজনের সঙ্গে পরিচয়, প্রেম এবং তারপর বিয়ে। এই স্বামী ব্যবসার কাজে ঘন ঘন ভারত যেতেন। তার ধারণা, তার পূর্বের স্বামী থেকে তার এই রোগী হয়েছে। এই ঘরে তার একটি কন্যাসন্তানও জন্ম নেয়। মেয়েটি দশ বছরের মাথায় মারা যায়। কন্যাশিশুটির ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতো। তার হাত-পায়েও খুঁজলি-পাঁচড়া হতো। এখন মনে হচ্ছে-মেয়েটিরও এইচআইভি পজেটিভ হয়েছিল। বললেন শাহিনা। তবে চিকিৎসকরা তখন তার মেয়ের রোগ ধরতে পারেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। শাহিনা আক্তার আবার আরেকটি বিয়ে করেছেন। এই স্বামী তার এই রোগের কথা জেনেও বিয়ে করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এখন বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু হচ্ছে না। তিনি জানান, ইআরবি নামের ওষুধ তাদের ফ্রি দেয়া হয়। এই ওষুধটি যাতে সহজভাবে নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। শাহিনা আরো বলেন, তার শরীরে শক্তি নেই অন্য কাজ করার। মুক্ত আকাশ বাংলাদেশে চাকরি করে কোনো রকম আহার জুটে। এই প্রকল্প বন্ধ হলে কোথাও যাওয়ার শক্তি নেই তার। দরিদ্র পরিবারে দশ ভাই বোনের মধ্যে শাহিনা বড়।
শুধু শাহিনা নন, দেশে এখনো পর্যন্ত ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের ২৮শে সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এই তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫৮ জন মারা গেছেন। এই হিসাব ১৯৮৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে দেশে চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি শনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘরে হিসাব মতে, বাংলাদেশে আনুমানিক সাড়ে নয় হাজার লোক এইচআইভি ভাইরাস বহন করছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ফলে ৫০ শতাংশের ওপরে লোক সনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিদ্যমান এ সংক্রান্ত কর্মসূচি অর্থ অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, সরকারি ১২টি এবং বেসরকারি ৮টি হাসপাতালের কর্মসূচি আগামী ৩১শে ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এইডস নিয়ে কাজ করেন এমন একটি সংগঠন ‘আশার আলো সোসাইটির’ পরিচালক হাবিবা আক্তার। তিনি মানবজমিনকে জানান, দাতা সংস্থাগুলোর কিছু সংখ্যক বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। আবার কিছু বন্ধের পথে রয়েছে। ইউএসএইড ইতিমধ্যে তাদের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘও আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের এই কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কার্যকরি উদ্যোগ দরকার। সূত্র জানায়, দেশে এ বছর এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা ৬ শতাধিক। যা অন্যান্য বছরে তুলনায় বেশি। অন্যান্য বছর এই সংখ্যা ৪০০, ৪৫০ ছিল। এইডস নিয়ে কাজ করে অপর আরেকটি সংগঠন ‘মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ’। এই সংগঠনটি ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত করে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক এমএইচ মুক্তি মানবজমিনকে বলেন, আগে যারা সনাক্ত হয়েছেন, তাদের সার্ভিস নিশ্চিত করতে হবে। যারা এইচআইভি পজেটিভ বহন করছেন, তাদের টেক কেয়ার করতে হবে। না হলে তারা অন্ধকারে চলে যাবেন। এই ভাইরাস ছড়াবেন। তিনি আরো জানান, সরকারকে এনজিওদের নিয়ে কাজ করতে হবে।
মাইগ্রেশনে এইডসে ঝুঁকি বাড়ছে: মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এইডসের ঝুঁকি বাড়ছে। আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের এইডস আক্রান্তের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে সম্প্রতি এসব তথ্য তুলে ধরেন সেভ দ্য চিলড্রেনের উপপরিচালক শেখ মাসুদুল আলম। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে ৫০ শতাংশ টার্গেট গ্রুপকে কভারেজের আওতায় আনার চেষ্টা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও টিবি রোগ থেকে এইডস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ২০০৪ সাল ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশে সাইজ এস্টিমেশন হয়েছিল। এ বছর গোবাল ফান্ডের অর্থায়নে সাইজ এস্টিমেশনের কাজ চলছে। মাসুদুল আলম জানান, ১৭২টি সেন্টারের মাধ্যমে ১৪ হাজার মাদকাসক্ত, ২৮ হাজার ৬০০ যৌনকর্মী, ১ হাজার ১০৬ এইচআইভি আক্রান্তকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে সারা দেশে ১০১টি এসটিসি সেন্টার তৈরির কাজ চলছে। যেন এসব সেন্টারগুলো থেকে এইচআইভি আক্রান্তরা পুরো চিকিৎসা পায়। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগ নির্ণয় পদ্ধতির সঙ্গে যদি এইচআইভি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা যুক্ত করা যায় তাহলে এইচআইভি নির্ণয় করাটা আরও সহজ হবে। যখন বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে তখন অর্থবরাদ্দ কমে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক শাখার এক তথ্য মতে, সারা বিশ্বে ৩ কোটির ওপর মানুষ এইডস আক্রান্ত। ২০১৪ সালে ২০ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশু এইডস আক্রান্ত হয়েছে। ২০০০-১৪ সাল পর্যন্ত এন্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ৭০ লাখ ৮০ হাজার এইডস আক্রান্ত মানুষকে বাঁচানো গেছে। ২০১৪ সালে ২ লাখ ২০ হাজার শিশু নতুন করে এইডস আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৪ সালের এন্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার শিশু সুস্থ হয়েছে। ২০১৪ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নতুন করে এইডস আক্রান্ত হয়। ২০০০-১৪ সাল পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার অনুপাতে যা ৩১ শতাংশ কম। এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতি রোগে মৃত্যুবরণ করেছে বিশ্বে।
২০১৪ সালের পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে ৩ হাজার ৬৭৮ জন এইডস আক্রান্ত। বাংলাদেশে ৩০৯ জন শিশু যাদের বয়স ০-১৪ বছর মূলত জন্মগতভাবেই এইডস আক্রান্ত। এদের মধ্যে ২০১৪ সালে ৬৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের ২০৮ জনকে এন্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট দেয়ার প্রয়োজন থাকলেও মাত্র ৭৯ জনকে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ২০১৪ সালে এইডস আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী। এইডসমুক্ত সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে ১৩৮ গর্ভবর্তী মায়ের চিকিৎসার প্রয়োজন থাকলেও পেয়েছেন মাত্র ২৫ জন। সিরিঞ্জের মাধ্যমে যারা মাদক সেবন করেন তাদের এইডস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৮ শতাংশ বেড়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ১২ শতাংশ বাড়ে। ১৯ শতাংশ বাড়ে সমকামিতার মাধ্যমে। ৪৯ শতাংশ বাড়ে হিজড়াদের মাধ্যমে। বাংলাদেশে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাদরাসা থেকে শুরু করে প্রতিটি স্কুলে এ বার্তাটা পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের রক্ষণশীলতার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইন দেয়ার পরও কিন্তু বাল্যবিয়ে রোধ করা যাচ্ছে না। ১৯৮১ সালে প্রথম এইডস আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশ এইডস আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মিডিয়ার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। বাঁচতে হলে জানতে হবে- এই প্রচারটাই অনেক কাজ হয়েছে। এ প্রচারের কারণেই বাংলাদেশে এইডস আক্রান্তের হার কমেছে। যারা বিদেশে কাজ করতে যান, তারা প্রায় ৩০ শতাংশ দেশে এসে এইডস ছড়ায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখতে পায়, রাজধানীর খোলা আকাশের নিচে প্রায় ২০ হাজার যুব জনগোষ্ঠী বসবাস করে। এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭২ শতাংশ বা প্রায় ১৫ হাজার ভাসমান পুরুষ। এদের প্রত্যেকেরই টাকা বিনিময়ে যৌনকাজের অভিজ্ঞতা আছে এবং এ বৃহৎ জনগোষ্ঠী এইচআইভি ঝুঁকিতে রয়েছে। পপুলেশন কাউন্সিল জানায়, ঢাকা শহরে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ২০ হাজার যুব জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৪৭ জনের তথ্য নেয়া হয়েছে। রাস্তায় বসবাস করা এসব মানুষ গড়ে ১৪ বছর বয়সেই যৌনকাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এদের ২৮ শতাংশ রেলস্টেশনে, ১৫ শতাংশ লঞ্চঘাটে, ৩৬ শতাংশ রাস্তায় ও অন্যান্য স্থানে ২২ শতাংশ বসবাস করে। এদের ৯২ শতাংশ অবিবাহিত, আর বিবাহবিচ্ছেদের পর রাস্তায় এসেছে ১ শতাংশ। গবেষকরা বলেছেন, রাস্তার যুব জনগোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশই কোনো না কোনো কাজ করে। এদের ৮০ শতাংশ বলেছে, তারা অর্থের বিনিময়ে যৌনকাজ করে। পাশাপাশি ৮৮ শতাংশ বলেছে, বিভিন্ন সময়ে তারাও নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। এদের কাজের ও বসবাসের স্থানে মাদকের ব্যবহার যেমন বেশি, তেমনি প্রয়োজনের সময় কনডম তারা পায় না। গবেষকেরা বলছেন, এরা অধিকতর এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে আছে।
এইডস কী এবং এইচআইভি কী? এইচআইভি একটি ভাইরাসের ছোট নাম। হিউমেন ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস থেকে নাম হয়েছে এইচআইভি। এই ভাইরাসটা মানুষের শরীরে সংক্রমণ হলেই রোগ হয়ে যায় না। সংক্রমণ হয়ে রোগ হতে অনেক বছর লাগে। ১০ থেকে ১৫ বছর বা ২০ বছর পর এই রোগ হয়। এজন্য যাদের এইচআইভি আছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রে কোনো রোগ নেই। এই এইচআইভি ইনফেকশনের কারণে যখন কতগুলো লক্ষণ শরীরের মধ্যে দেখা দিতে শুরু করে- সেটা জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, ডায়রিয়া হওয়া, টিবি রোগ হওয়া। এইচআইভির কারণে যখন মানুষের মধ্যে এই রোগগুলো দেখা দেয়, তখন একে এইডস বলে। এর মানে এইচআইভি পজিটিভ কেউ হলেও তার মধ্যে এটি কেরিয়ার (বহনকারী) হিসেবে থাকছে, তখনই এটি রোগ নয়। যখন এটা রোগে পরিণত হচ্ছে, তখন একে আমরা এইডস বলি বলে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে রিকশাচালকদের মধ্যে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ লোক এইডস কীভাবে ছড়ায় তা জানে না।
একজন মানুষের থেকে অন্য মানুষের শরীরে এইচআইভি কীভাবে ছড়ায়? এর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। এই তিনটির বাইরে কোনো পদ্ধতি নেই। একটি হলো, দুজন মানুষের শারীরিক মিলনের মাধ্যমে হচ্ছে। দ্বিতীয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে হতে পারে, ইনজেকশন যদি শেয়ার করে বা রক্ত দেয়ার মাধ্যমে হতে পারে। তিন নম্বর হচ্ছে, মায়ের থেকে সন্তানের হতে পারে। মা যদি এইচআইভি পজিটিভ হয়, তখন এটি হতে পারে, তাও এর সম্ভাবনা খুব কম। ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়, দশমিক পাঁচ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। এই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে পড়ে গেলে সন্তানেরও এইচআইভি পজিটিভ হতে পারে। যৌন কার্যক্রমের মধ্যে নারী, পুরুষ, সমকামীদের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস বিষয়ক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফা মুহিন স্বীকার করেছেন যে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর সরকার-বেসরকারি হাসপাতালে এ সংক্রান্ত কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি মানবজমিনকে বলেন, চিকিৎসক হিসাবে তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে মুক্ত রাখতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। দাতাসংস্থাগুলোর অর্থায়ন বন্ধ প্রসঙ্গে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি এ ধরনের রোগের বিষয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই পরিস্থিতে বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।