১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

শবে বরাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ছয়টি হাদিস

মা-আয়েশা রা. নবী করীম সা. থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী করীম সা. (আমাকে) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এ রজনীতে অর্থাৎ শাবানের পনেরতম রজনীতে কী হয়? তিনি (মা আয়েশা) বলেছেন, হে আল্লাহর রাসুল! এ রজনীতে কি হয়? অতঃপর তিনি বললেন, এ রজনীতে যত আদম সন্তান এ বছর জন্মগ্রহণ করবে তাদের নাম লেখা হয় এবং এ বছর যত বনী আদম মৃত্যুবরণ করবে তাদেরও নাম লেখা হয়। আর এ রজনীতে বনী আদমের (সারা বছরের) কৃতকার্য উপরে উঠিয়ে নেয়া হয় এবং রজনীতেই তাদের (নির্ধারিত) রিজিক অবতীর্ণ করা হয়। (মিশকাত শরিফ ১ম খ-, পৃ. নং-১১৫)

হযরত ওসমান ইবনে মুহাম্মাদ বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, এক শাবান হতে অপর শাবান পর্যন্ত (ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারীদের) জীবন নির্ধারণ করা হয়। এমনকি মানুষ বিবাহ শাদি করে, তার সন্তান হয় অথচ তার নাম মৃতদের তালিকাভুক্ত হয়ে গেছে। (তারাবি-২৫/৬৫ কুরতবী-১৬/১২৬, ইবনে কাছীর-৪/১৩৭, শুআ’বুল ঈমান-৩/৩৮৬) ৩.

মা-আয়েশা (রা.) বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে খুঁজতে বের হলাম। অতঃপর (মদিনার বৃহৎ কবরস্থান) জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে তাকে অবস্থানরত দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, তুমি কি আশঙ্কা করছ যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল তোমার ওপর জুলুম করবে? (অর্থাৎ তোমার হক নষ্ট করবেন)? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার ধারণা হলো, সম্ভবত আপনি অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন। অতঃপর তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তায়ালা শাবানের মধ্যবর্তী রাতে (অর্থাৎ শবেবরাতে) দুনিয়ার নিকটতম আকাশে শুভাগমন করেন এবং (আরবের সর্বাধিক মেষপালের অধিকারী) কালব গোত্রের বকরিগুলোর পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক লোককে তিনি ক্ষমা করে দেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যারা জাহান্নামের তালিকাভুক্ত লোক এমন লোকদেরও মাফ করে দেন। (মিশকাত শরিফ-১/১১৪, বাইহাকী-৩/৩৭ সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহীহাহ্্ ৩/১৩৮)

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা শাবানের পনেরতম রাতে প্রথম আসমানে (দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে) অবতরণ করেন এবং এ রজনীতে সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, কেবলমাত্র মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত। (বাইহাকী-৩/৩৮০ বাগভী-৪/১২৬, মাযমাউয যাওয়াইদ ৮/৬৫)।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, হিংসুক এবং অন্যায়ভাবে হত্যাকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/১৭৬) ৫. হযরত ওসমান ইবনে আবুল আস (রা.) নবী করীম (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন শাবানের পঞ্চদশ রজনী আসে, তখন (আল্লাহর পক্ষ হতে) এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করতে থাকেন আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন প্রার্থনাকারী? আমি তাকে দান করব। তখন ব্যভিচারিণী ও মুশরিক ব্যতীত যে ব্যক্তি প্রার্থনা করে, সে তা প্রাপ্ত হয়। -(বাইহাকী-১২৫, ৩/৩৮৩)।

হযরত আবু ছালাবা খুশানী (রা.) নবী করীম (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি ফরমায়েছেন, যখন শাবানের পঞ্চদশ রজনী আসে, তখন বিশ্বজগতের প্রতিপালক স্বীয় সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহের দৃষ্টি দিয়ে মুমিনদের ক্ষমা করে দেন, কাফেরদের সুযোগ দেন। আর হিংসুকদের বিষয় মুলতবি রাখেন, যতক্ষণ না তারা হিংসা পরিত্যাগ করে। (বাইহাকী ৩/৩৮১, মু’জামে কাবীর-২২/১৮৪)

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।