জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোট গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই ছোট বড় ৩৪ দল নিয়ে জাতীয় পার্টি( জাপা) নেতৃত্বাধীন জোটের শিগগিরই ঘোষণা আসতে পারে।জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে এসব দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত চলছে আলাপ আলোচনা।
সূত্রে জানা যায়, এরশাদের এই জোটে বেশ কয়েকটি ইসলামি দল অংশ নিবে। হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক ইসলামপন্থি দল ও ইসলামী চিন্তাবিদদের নিয়ে পৃথক রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।আগামী মাসেই জোটের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা করতে তোড়জোড় শুরু করছে জাপার র্শীষ নেতারা। হেফাজতসহ অন্য ইসলামী দল নিয়ে জোট গঠনের কাজ এগিয়ে নিতে বৈঠকে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির র্শীষ এক নেতা জানান, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে কি না সেটা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। অপরদিকে সংসদে বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টিও চাইছে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে।জাতীয় পার্টি জোট গঠন করে আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে।তার জন্য চলছে যাচাই বাচাই। জোটের নেতারা কে কোন আসনের প্রার্থী হবেন তারও তালিকা চলছে।
জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন।তার জন্য জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছে।আমরা শিগগিরই জোট ঘোষণা করব। জোট গঠনের ব্যাপারে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা চলছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।নির্বাচনকে ঘিরে এরশাদের এ জোটে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩৪টি দল যোগ দিতে পারে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ এরশাদ ‘জাতীয় ইসলামী মহাজোট’ নামে একটি নতুন জোট ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ছোট ছোট ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জোট গঠনের পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আরেকটি জোট গঠনে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। পরে এ দুটি জোট নিয়ে একটি শক্তিশালী মহাজোট গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
সূত্র- পূর্বপশ্চিম
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।