হিলারি ক্লিনটনের জয় দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম প্রহর। এর আগে বিভিন্ন জনমত জরিপেও ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে ছিলেন সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ক্ষুদে শহর ডিক্সভিল নচ-এ জয় পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এবারের নির্বাচনে এখানেই প্রথম ভোট গণনা করা হয়েছে।
ক্ষুদে শহর ডিক্সভিল নচ-এর ভোটার মাত্র নয়জন। এর মধ্যে দুইজন নারী, সাতজন পুরুষ। সেখানে হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন চার ভোট। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন দুই ভোট। লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্যারি জনসন পেয়েছেন এক ভোট।
এছাড়া গতবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মিট
রমনি পেয়েছেন। ব্যালটের ওপর তার নাম লিখে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী না হওয়ায় এ ভোটটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১০০টির নিচেম সেসব কেন্দ্রে মধ্যরাতে ভোট গ্রহণের সুযোগ আছে। সে অনুযায়ী নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিক্সভিল নচ-এ ১৯৬০ সাল থেকে মধ্যরাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যে কোনও নির্বাচনেই এখানে ভোটগ্রহণ হয় মধ্যরাতে। কারণ, এখানকার ভোটাররা সবাই অবকাশকেন্দ্রে কাজ করেন। তাদের ভোট প্রদানের জন্য মধ্যরাতই ভালো সময়।
এ এলাকাটিকে সাধারণত রিপাবলিকান অধ্যুষিত মনে করা হয়। তবে ২০০৮ সালেও এখানকার বাসিন্দারা বারাক ওবামার পক্ষে রায় দেন।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। এছাড়া পৌনে চার কোটি লাতিনো ভোটারের মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি ভোটার। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক আগাম ভোট প্রদানের ইতিহাস গড়েছেন দেশটির অভিবাসী ভোটাররা। অভিবাসী লাতিনোদের (হিস্পানিক) প্রায় সব ভোটই পড়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে। মূলত অভিবাসীদের তাড়িয়ে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা হন অভিবাসী লাতিনোরা। -মেইল অনলাইন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।