বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর লোহাগাড়ায় আমিনুল ইসলাম আমিনের প্রথম আগমনে হাজার হাজার মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। গতকাল ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম শহর থেকে লোহাগাড়ায় পৌঁছলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী থেকে লোহাগাড়ার চুনতি শাহ্ সাহেব গেট এলাকা পর্যন্ত তিনি সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের এ ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। ওই সময় তাঁকে অন্তত: শতাধিক গাড়ীবহর ও অসংখ্য মোটর সাইকেলের শোভা যাত্রা অভিনন্দন জানিয়ে লোহাগাড়া সীমানা থেকে বরণ করে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঠাকুর দিঘীর বাজার থেকে উপজেলার চুনতি শাহ ্সাহেব গেট পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মী তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া লোহাগাড়ার সর্বশেষ উত্তর সীমানা থেকে চুনতি পর্যন্ত আমিনুল ইসলামের আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম শ্লোগান লেখা সম্বলিত অন্তত: ৩০টি গেট, বিলবোর্ড ও তোরণ দেখা গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, এটি লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্ববৃহৎ শোডাউন। এটি আমিনুল ইসলামের প্রতি সাধারণ জনগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আন্তরিকতা ও ভালবাসার প্রমাণ বলেও জানিয়েছেন অনেকে। এদিকে, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সকাল সাড়ে ১০টায় লোহাগাড়ায় পৌঁছে প্রথমেই চুনতির হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ্ সাহেব কেবলা (র:) এর মাজার জিয়ারত করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদর বটতলী মোটর ষ্টেশনস্থ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিক, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। উপজেলা আ.লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আমিনুল ইসলাম আমিন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চটগ্রাম দ. জেলা আ.লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নুরুল আবছার চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়ের, লোহাগাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবদুল শুক্কুর রশিদী, শ্রী নিবাস দাশ সাগর, আনিস উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, নাজমুল হাসান মিন্টু, মো. মিয়া ফারুক, দপ্তর সম্পাদক শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান, শ্রমিকলীগ সভাপতি ফরিদ উদ্দীন, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়–য়া রোনা ও আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আমিনুল ইসলাম আমিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উল্লেখ করেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের মাঝে প্রশংসিত করে তুলেছেন। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে তিনি নিজ জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম সহকারে বিশের কাছ থেকে সম্মান বয়ে এনেছেন। এছাড়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তাঁকে উল্লেখিত পদে দায়িত্ব দেয়ায় তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া নেতৃকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলীয় কার্যক্রম বেগবান করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ ও ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে কোন ধরনের সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে তার জন্য সব সময় দলীয় নেতা কর্মীদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশ^স্থ কর্মী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁকে স্থান দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণ করার রাজনীতিই আমাদেরকে শিখিয়েছেন। পদ-পদবীর তাবেদারী করা আমার কাজ নয়। আমার রাজনীতি হচ্ছে সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণ করা এবং পাশে দাঁড়ানো। আর আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এটাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আমার এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন বার্তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।