২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

‘শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা’

জাতীয় ডেস্কঃ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা। খবর বাসস।

 

জাতিসংঘের বিশেষ দূত গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে শেখ হাসিনার মতো নেতা খুব কমই রয়েছে।

জাতিসংঘ দূত বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা সৃষ্টি করেছে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের দেখভাল করা খুবই কঠিন কাজ।

এ প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন যে, জাতিসংঘ, ইউএনসিএইচআর ও বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে একযোগ কাজ করবে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

তিনি বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ইস্যুতে সহযোগিতার চেষ্টা করার সত্ত্বেও তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

জোলি উল্লেখ করেন যে, তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নারীদের ওপর নির্যাতন ও তাদের হত্যার সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট অবশ্যই সমাধান করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী এবং তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি ও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তবে শেখ হাসিনা সেই চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে আশ্রয় শিবিরগুলোতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মতো নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তার সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক লাখের বেশি শরণার্থী সেখানে অপেক্ষাকৃত উন্নত পরিবেশে সাময়িক আশ্রয় পাবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এক কোটির বেশি লোক পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন।

শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে তার মাসহ তিনি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দী থাকার এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর ৬ বছর ধরে তাঁর নির্বাসনে থাকার মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দেন।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই বেদনাময় কাহিনী শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভগ্নিপুত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।