সত্যিই অবিশ্বাস্য! জিম্বাবুয়েও এমন ব্যাটিং করতে পারে? না দেখলে বিশ্বাস করবে না কেউ। ঘরের মাঠে ৩১৬ রান করেও তাকে রক্ষা করতে পারলো না লঙ্কানরা। জিম্বাবুয়ের মত দল সেই রান টপকে গেলো ৪৭.৪ ওভারেই। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। জয়ের জন্য ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সলোমন মিরের অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৬ উইকেটের ব্যবধানে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।
লঙ্কান বোলারদের তালিকা দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা তাদের ৩১৬ রান টপকে গেছে। লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ, অ্যাসেলা গুনারত্নে, আকিলা ধনঞ্জয়া থেকে শুরু করে মোট ৭জন বোলার ব্যবহার করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তাতেও কাজ হলো না।
সলোমন মিরের ৯৬ বলে ১১২, শন উইলিয়ামসের ৬৯ বলে ৬৫, সিকান্দার রাজার ৫৬ বলে অপরাজিত ৬৭ এবং ম্যালকম ওয়ালারের ২৯ বলে ৪০ রানের ওপর ভর করেই এত বড় একটি স্কোর পাড়ি দিলো জিম্বাবুয়ে।
মাত্রই ক’দিন আগে নেদারল্যান্ডসের মত দলের কাছে হেরে শ্রীলঙ্কা এসেছে জিম্বাবুয়ে। তারাই কি না অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে আজ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিলো।
জয়ের জন্য ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। উইকেট তুলে নেন মালিঙ্গা। তবে মালিঙ্গা আতঙ্ক খুব বেশি ভর করেনি জিম্বাবুয়ে শিবিরে।
১২ রানে মাসাকাদজা এবং ৪৬ রানের মাথায় ক্রেইগ আরভিন ফিরে গেলেও শন উইলিয়ামসের সঙ্গে ১৬১ রানের জুটি গড়ে তোলেন সলোমন মিরে। দলীয় ২০৭ রানের মাথায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর সলোমন আউট হন ব্যক্তিগত ১১২ রানে।
জয়ের আসল কাজটিই তিনি করে দিয়ে যান। এ সময় খেলা চলছিল ৩৩তম ওভারের। পরের কাজটুকু উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা এবং ম্যালকম ওয়ালার মিলে সেরে নেন। হাতে তখনও বাকি ছিল ১৪ বল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ৮৬, উপুল থারাঙ্গার অপরাজিত ৭৯, গুনাথিলাকার ৬০ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ৪৩ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।