প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৭তম জন্মদিন আজ। তিনি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান।
তার অনন্য পরিচয়টি হচ্ছে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই অবরুদ্ধ ঢাকায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম । স্বাধীনতা যুদ্ধ জয়ের পর তার নাম ‘জয়’ রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।
নামকরণ যেভাবে : নবজাতককে গোসল করিয়ে শরীরে তেল মাখতে মাখতে বেগম মুজিব ছেলে সন্তানের নাম কী হবে সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছিলেন। শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথোপকথনের কথা উল্লেখ করে জানান, ‘আব্বা আমাকে বলেছিলেন, ছেলে হলে জয় বাংলার ‘জয়’ আর মেয়ে হলে ‘জয়া’ নাম রাখতে।’ বেগম মুজিব সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতককে কোলে তুলে নিয়ে বলেন, ‘সত্যিই এ আমার জয়। আমার কোন ভাই নেই, জয় আমার সত্যিই ভাই। তাই মুজিব নামের সঙ্গে মিলিয়ে আসল নাম রাখলাম সজিব।’ (সংগৃহীত)
লেখাপড়া বিদেশে : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারের নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে ছিলেন জয়। পরবর্তীকালে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে ছিলেন। জয়ের শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে।
নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনীতিতে : ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সরকারের কোনও কর্মসূচিতে তাকে তেমন দেখা যায় না।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়কে তার পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিয়ে : ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।