কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী। এ উপজেলায় জলদস্যু যেমন আছে তেমনি ৬৫টি ভাগ বনভূমি জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে ৯টির বেশী সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারমধ্যে উপজেলার কালারমারছড়ার ৫টি ও হোয়ানকের ৪টি সন্ত্রাসী সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে। জলদস্যুতা, ঘের ও বনভূমি দখল ও আধিপত্য বিস্তারে খুন খারাবী করে বেড়ায় এসব সন্ত্রাসী বাহিনী। দীর্ঘদিন থেকে এই সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে জিন্মি হয়ে আছে এখানকার জেলে ও সাধারণ মানুষ। পট্রশাসনের অভিযানের পর এখন অনেকটা শঙ্কামুক্ত বলে জানান এখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে জানাযায়, সন্ত্রাস অধ্যূষিত এলাকা মহেশখালীতে ক্রমশ দূর্বল হয়ে আসছে অপরাধীদের রাজত্ব। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান ও পর পর অভিযানের কারণে মহেশখালী ছাড়ছে সন্ত্রাসীরা। আর সন্ত্রাসের ভয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা মানুষেরা ফিরতে শুরু করেছেন এলাকায়। তবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেই অপরাধীরা উচ্চ আদালতে মামলা দিয়ে আইন- শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান বন্ধে নানা পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে পুলিশ সুত্রে জানাযায়, সন্ত্রাসীদের জিন্মিদশা থেকে রক্ষায় পুলিশের অভিযানে গত ছয় মাসে মহেশখালীর হোয়ানক ও কালারমারছড়ায় বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী বদইল্যা, আব্দুস সাত্তার, কুইল্ল্যা মিয়া ও এনাম। আটক হয়েছে আরো ৪০ জন সন্ত্রাসী ও জব্দ করা বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশের এমন সাঁড়াশি অভিযানে মহেশখালীতে দূর্বল হতে শুরু করে সন্ত্রাসীদের অবস্থান।
এর ফলে এতোদিন সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে থাকা অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন এলাকায়। শস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে এখানকার মানুষের মাঝে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী আবুল কালাম জানান, এখনো জিইয়ে থাকা সন্ত্রাসী গ্রুপের সব সদস্যদের ধরতে পারলেই মহেশখালীর প্রায় তিন লাখ মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। তাছাড়া আমরা এখনও অনেকটা শঙ্কামুক্ত হয়েছি। এখন বাড়ি ফিরতে পারবো।
তবে পুলিশ বলছে, কোন সন্ত্রাসী আটক কিংবা বন্দুক যুদ্ধে মারা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করে আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে বিঘেœর চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসী গ্রুপের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতারা।
অন্যদিকে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের দমনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জলদস্যু ও সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মহেশখালীর বাকী ৯টির মতো সন্ত্রাসী গ্রুপের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ধরা হবে তাদের আশ্রয় দাতাদেরও।
এদিকে জানতে চাইলে র্যাব-৭ কক্সবাজার সিপিসি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান, গত এক বছরে অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে কক্সবাজারের এই দ্বীপ উপজেলাটি থেকে। সন্ত্রাসী ও জলদস্যু দমনে আমাদেও এটি একটি চলমান পক্রিয়া। বাকি যে সব সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় অবস্থান করছে তাদের দমনে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।