সরকারের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা হয়েছে— এমন একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে শনিবার সন্ধ্যায়। ৯১ দিন পর এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিনের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা কোনো রকম পুলিশী বাধা ছাড়াই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর সাধারণ মানুষের মনে সরকার-বিএনপির সমঝোতার সন্দেহে নতুনমাত্রা যোগ করে রবিবার ২০ দল হরতাল ঘোষণা না করায়।
এরপর খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হচ্ছেন— এমন খবর প্রকাশ পেলে সাধারণ মানুষের এই সন্দেহ বিশ্বাসে রূপ নেয়। পরদিন রবিবার সত্যিই খালেদার আদালতে হাজিরা, জামিন লাভ ও গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে না ফিরে বাসায় চলে যাওয়ার ঘটনায় যেন সব সন্দেহ দূর হয়। দুই দলের এমন ‘সমঝোতা’ এক ধরনের স্বস্তি এনে দিয়েছে দেশবাসীকে। দেশের বিদ্যমান শ্বাসরুদ্ধকর সহিংস রাজনীতি থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে তাদের।
দীর্ঘ তিন মাস (৯২ দিন) গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানের পর রবিবার সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত দুদকের করা ওই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। জামিন শেষে খালেদা জিয়া আগের অবস্থান গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে না গিয়ে সরাসরি তার গুলশানের বাসায় (ফিরোজা) চলে যান।
গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার বিশেষ আদালতে যাওয়া এবং জামিন শেষে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরে যাওয়ার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল— সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিলে খালেদা জিয়া রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। সে হিসেবে রবিবার খালেদাকে আদালতে যাওয়া-আসার সময় কঠোর ও নজিরবিহীন নিরাপত্তা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলশান থেকে বিশেষ আদালতে যেতে মাত্র ৩৬ মিনিট (৯টা ৫৮ মিনিট থেকে ১০টা ৩৪ মিনিট) এবং জামিন শেষে গুলশানের বাসায় ফিরে যেতে মাত্র ৩২ মিনিট (১১টা ৪৮ মিনিট থেকে ১২টা ২০ মিনিট) সময় লাগে খালেদা জিয়ার। রবিবারের মতো সপ্তাহের প্রথম অফিসের দিনে রাজধানীতে এত স্বল্প সময়ে গুলশান থেকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত একেবারেই অকল্পনীয়।
প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, খালেদা জিয়া গুলশান-২ নম্বর থেকে মহাখালী-ফার্মগেট হয়ে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে যান এবং একই পথে গুলশানের বাসায় ফিরে যান। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের নিরাপত্তা বা ট্রাফিক সিগন্যালের সুবিধা পান খালেদা জিয়ার বেলাতেও রবিবার তাই হয়েছে। খালেদার পূর্বনির্ধারিত রাস্তায় এক সেকেন্ডের জন্যও যানজট ছিল না।
সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মনে হাসিনা-খালেদার মধ্যে ‘গোপন সমঝোতা’ হওয়ার ধারণা আরও বদ্ধমূল হয় আদালতে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ায়। শুনানিতে যেখানে দুদকের আইনজীবীদের পক্ষে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করার কথা সেখানে দুদকের প্রধান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানী ব্যক্তি। তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।’
অন্যদিকে খালেদা জিয়া আদালত চত্বরে পৌঁছার আগে থেকেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। তাদের অনেকেই আলোচনা করছিলেন— ‘খালেদা জিয়া আজ (রবিবার) জামিন পাবেনই।’
এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন লাভ এবং গুলশানের রাজনৈতিক কাযালয়ে না ফিরে বাসায়(ফিরোজা) ফিরে যাওয়ার বিষয়টি ছিল রবিবার টক অব দ্য কান্ট্রি। আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক মহলসহ সর্বপেশার মানুষের আলোচনার বিষয় ছিল এটি। রাস্তাঘাট এবং চায়ের দোকানেও একই সুর ‘হাসিনা-খালেদার মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়েছে।’
এদিকে বেগম খালেদা জিয়া দুই মামলায় জামিন লাভের পর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় কিংবা নয়াপল্টনের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাননি, এমনকি যাওয়ার চেষ্টাও করেননি। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে সরাসরি তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় চলে যান। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মনেও সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা আরও স্পষ্ট হয়।
দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচিও পালন করেছে ২০ দল। এমনকি তবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা, এসএসসি পরীক্ষার সময়ও অবরোধের পাশাপাশি শুক্র ও শনিবার বাদে সারাদেশে হরতাল পালন করেছে এ জোট। কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুর দিন রবিবার হরতাল কর্মসূচি না দেওয়া এবং এরপরের দিনগুলোতেও হরতাল কর্মসূচি না থাকায় মানুষের মনে সমঝোতার বিষয়টি দানা বাঁধে।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমার মনে হয় সমঝোতা নয়, উপলব্ধি থেকেই একে অপরকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছে দুটি দলের মধ্যে। তারা হয়ত বুঝতে পেরেছেন একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করার যে প্রচেষ্টা তা সফল হবে না। বরং নিজেদের ক্ষতিই বয়ে আনবে। এ উপলব্ধি থেকেই হয়ত তারা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ ব্যাপারে দ্য রিপোর্টকে বলেন, দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে— এটা বলতে পারি না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় দলের জন্য একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রথমত খালেদা জিয়ার জামিন ও দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সহিংসতা থেকে ফিরে এসেছে। এখন তারা কিভাবে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করবে সেটি একটি বিষয়। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও সরকারের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সরকারের জন্য এখন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল— কিভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য করতে পারে। তারা কিভাবে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবমুক্ত রেখে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়— এখন তা দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, উভয় দল থেকেই আমরা গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আচরণ আশা করি। আমরা চাই না আবারও সহিংসতা ফিরে আসুক।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিএনপি হরতাল দেয়নি ঠিক আছে— এখনো কিন্তু সারাদেশে অবরোধ অব্যাহত আছে। সুতরাং খুব বেশি যে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে তা বলা যাবে না।
রাজনীতিক, কূটনীতিক, প্রশাসনিকসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতিক-কূটনীতিকদের উদ্যোগে বাংলাদেশের ক্ষমতাধর দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে শর্তসাপেক্ষে সমাঝোতা হয়েছে। সমাঝোতার দৃশ্যমান ফল দেখা গেছে রবিবার। বিএনপি চেয়ারপারসন সকালে তার গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে কার্যালয়ে না ফিরে বাসভবনে ফেরেন।
কূটনীতিক সূত্রের ধারণা, বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী ও সংগঠন সরকার ও বিএনপির রাজনৈতিক সমঝোতার পথ তৈরি করেছে। এদিকে বাংলাদেশে সহিংসতা কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। মহাসচিবের মুখপাত্র শনিবার নিউইয়র্ক থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা কমে আসার পাশাপাশি সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন মহাসচিব। ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে আগামী ২৮ এপ্রিল মেয়র এবং কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মহাসচিব আশা করছেন বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায়ে রাজনৈতিক দলগুলো শিগগিরই তাদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানোর উপায় বের করবেন। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। জাতিসংঘের এ বিবৃতিও দুই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিকে বদ্ধমূল করেছে বলে কূটনীতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, খালেদা জিয়ার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে— এ জন্য তাকে ধন্যবাদ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, দেরিতে হলেও খালেদা জিয়া বাস্তবে ফিরে এসেছেন। এখন থেকে তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সঠিক পথে হাঁটবেন বলে আশা করি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ দ্য রিপোর্টকে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিসের সমঝোতা। উনার সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘চেয়ারপারসনের কার্যালয় ছেড়ে যাওয়া সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আঁতাত বা সমঝোতার ফসল নয়। বরং আমরা মনে করি এটা একটি ইতিবাচক দিক। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) ঘরে ফিরে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই— এটা আন্দোলনেরই ভিন্ন দিক।’
বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক মাহবুবুর রহমান বলেন, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা ইতোমধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতালসহ আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে ‘রিলাক্সড মুডে’ চলে গেছি। নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। চেয়ারপারসনের ঘরে ফেরা তাই আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের ওপর।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জেবেল রহমান গানি সরকার-বিএনপির ‘সমঝোতা’র বিষয়টি নাকচ করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আন্দোলন চলমান থাকতেই আমরা ২০ দলীয় জোট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে হরতালসহ কঠিন কর্মসূচির আওতামুক্তও ঘোষণা করেছি। এর সবকিছুই হচ্ছে আমরা নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তরুণ এ রাজনীতিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন একটানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা একটি নির্বাচন পেয়েছি। যে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ও আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হলে দেশ-বিদেশের সকলেই জানতে পারবে জনগণ এ সরকারকে চায় না। আর সরকার যদি কারচুপির মাধ্যমে জোর করে বিরোধী দলের বিজয় ছিনিয়ে নেয়, তাহলেও আমাদের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের গণদাবিই আবার প্রমাণ হবে।’
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি যে গণতান্ত্রিক আচরণ করেছে আমরা সেই আচরণকে সাধুবাদ জানাতে চাই। তবে আমরা শঙ্কিত এই ভেবে— এ আচরণ যেন নাটক না হয়। আমরা বিশ্বাস করি এ ধারা অব্যাহত রেখে দেশে রাজনৈতিক যে গভীর সঙ্কট চলছে সেই সঙ্কট উত্তরণে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। ৯২ দিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয় থেকে আদালতে জামিন পাওয়ার পর নিজ বাসভবনে ফিরে যাওয়া গণতন্ত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। জোটনেত্রীর বাসভবনে ফিরে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।