৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

সমুদ্রে ৬৫ দিন বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

103470-theereport24

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সর্বোচ্চ সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার বাণিজ্যিক ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এতে যদি ১০ থেকে ২০ ভাগ মাছও সংরক্ষণ করা যায় তবে আমাদের সমুদ্র এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাছ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।’

বিশ্বের সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলোতে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গতকাল মেরিন ফিশারিজ এ্যাসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ট্রলার ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, মেরিন ফিশারিজ এক্স ক্যাডেট এ্যাসোসিয়েশন, গবেষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারিজের অধ্যাপক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে মাছ ধরা নিষিদ্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, মৎস্য খাতের উন্নয়নে প্রজনন মৌসুম বিশেষ করে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে গত এক বছর থেকে মৎস্য বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

‘গত ৫ বছরে ট্রলারের মাধ্যমে আহরিত মাছের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিবছর জুন হতে আগস্ট মাসে সাদা মাছের আহরণ তুলনামূলকভাবে কম, প্রতিবছর তা ক্রমান্বয়ে কমছে। গত ৩ নভেম্বর পরিচালক (সামুদ্রিক) এর দফতরে অনুষ্ঠিত সভায় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা কিছু প্রজাতির মাছের প্রজননকাল বিবেচনায় প্রতি বছর জুন ও জুলাই মাসে সাদা মাছের আহরণ আইন করে বন্ধ রাখার জন্য প্রস্তাব করেন।’

ছায়েদুল হক আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মৎস্য অধিদফতরে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা সাদা মাছের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ২৩ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ৬০ দিন প্রধান প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করে বাণিজ্যিক ট্রলারের মাধ্যমে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।’

‘এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট ট্রলার এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নিয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি সভা আয়োজনের প্রস্তাবসহ কার্যবিবরণী মৎস্য অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়’ বলেন তিনি।

গত ১৭ মার্চে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এ্যাসোসিয়েশন বিষয়টি আবারও পর্যালোচনার জন্য সমিতি ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে আরও একটি সভা আয়োজন করতে প্রস্তাব পাঠায়।

ট্রলারগুলো সারা বছর মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে গমন করলেও জুন থেকে আগস্ট মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্দরে ফিরে আসে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময়ে সাদা মাছের আহরণ মৌসুম বন্ধ ঘোষণা করা হলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।’]

প্রসঙ্গত, অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের ৬৮ হাজার ট্রলার মাছ ধরে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রে ২৪০টি বড় জাহাজ মাছ ধরে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।