আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিগত এক বছরে ১৮,০০০ নারী ধর্ষিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
রাজধানীতে চলন্ত মাইক্রোবাসে গারো তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।
রব বলেন, ‘চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষিতা তরুণী গারো নয়, সে বাঙালির সন্তান। এই সরকারের এক বছরে ১৮,০০০ নারী ধর্ষিত হয়েছে। দেশ এমন বিকৃত হবে আগে জানলে মুক্তিযুদ্ধই করতাম না।’
তিনি বলেন, ‘যারা ধর্ষণ করছে, তাদের জন্য ফাঁসি যথেষ্ট নয়। এ সমস্ত কুলাঙ্গারকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ-কোটি জনগণের সামনে গুলি করে মারা উচিত। মানুষই ধর্ম সৃষ্টি করেছে, তাই সবার আগে মানুষই সত্য।’
জেএসডি সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) আদিবাসীদের প্যাগোডা, ঘরবাড়ি তুলে দিতে পারবেন। কিন্তু একজন নারীর সম্ভ্রম ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।’
গণসমাবেশে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণ শুধু গায়ের জোরে হয় না। এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতা তারাই ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
যেভাবে নারীর ওপর নিপীড়ন হচ্ছে, তা প্রতিরোধ করতে হলে সংগঠিতভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ঢাকা উত্তরে মেয়র পদের পরাজিত এই প্রার্থী।
সমাবেশে লাকী আকতার বলেন, নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। বর্ষবরণের দিনে নারী নির্যাতনের বিচার হয়নি বলেই এক মাসে আরো অনেক নারীকে তার সম্ভ্রম হারাতে হলো।
তিনি দাবি করেন, আদিবাসী ও অন্য ধর্মের নারীর ওপর বেশি আগ্রাসন হয়। এই আগ্রাসনে থাকে সরকারের পোষা নেতাকর্মীরা। এজন্যই এসব ঘটনার কোনো বিচার হয় না।
গণসমাবেশে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, লেনার্ড সুবিট রাখা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আল জাহিদ, বাগাছাসের সাবেক সভাপতি শেরিন আরেং সেং, জাংকা রিছিল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।