চকরিয়া-পেকুয়ায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কক্সবাজার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অথচ বেশিরভাগ এলাকায় এখনও সরকারী ত্রাণ পৌঁছায়নি।
তিনি বলেন- সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ কোথায় যায়- তা জনগণ জানতে চায়। তিনি বন্যা দূর্গতদের পূনবার্সনের জন্য খাদ্যের পাশাপাশি গৃহনির্মাণ সামগ্রী প্রদানেরও দাবী জানান।
তিনি আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চকরিয়ার ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, বাঘগুজারা ও পেকুয়া সদরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন- সাম্প্রতিক বন্যায় কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মৎস্য ঘেরের কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া জমির ফসল ও ক্ষেত-খামার ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো একেবারেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো সংস্কারে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন- সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এই অর্থনীতিকে পূনরায় চাঙ্গা করতে হলে অতি জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য নদী ও খালসহ পানি নিষ্কাষণ নালায় প্রভাবশালীদের বাঁধ নির্মাণের সমালোচনা করে বলেন- বন্যা থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিতে হলে পানির স্বাভাবিক চলাচল পথকে অবারিত করে দিতে হবে।
তিনি বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী কক্সবাজার জেলাবাসীসহ সচ্ছল মানুষদের প্রতি আহবান জানান।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বদরী, পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জেড এম মোসলেম উদ্দিন ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজউদ্দিন মাসুমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে কক্সবাজার জেলার বন্যার্তদের জন্য সৌদি আরবের মক্কাস্থ প্রাদেশিক বিএনপির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।