শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আট বছরে দেশের আমুল পরিবর্তন করেছে। পল্লী উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, আর্ত¥সামাজিক উন্নয়ন করে দেশকে একটি স্বনির্ভরশীল দেশ হিসেবে বিশে^র দরবারে পরিচিতি করছে। বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার দর্শন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
৯ জানুয়ারী সোমবার বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক। এরপর জাতীয় সংগীতে সকলে দাড়িয়ে সম্মননা জানান আপন দেশের প্রতি। পরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রদর্শণ করা হয় প্রামান্য চিত্র।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু তাহের,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, সিভিল সার্জন ডাঃ পুঁচনু, অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) গোলাম রুহুল কুদ্দুস সহ সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে জেলা প্রশাসক মোং আলী হোসনের নেতৃত্বে একটি উন্নয়ন র্যালী কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিশাল র্যালী বের করা হয়। এসময় ঘোড়ার গাড়ি, বাদ্যযন্ত্র ও রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুনে প্রধান সড়ক জুড়ে উৎসবের বর্ণিল আবহ ছড়িয়ে পড়ে। র্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।এতে স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান জানান, মেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওইসব স্টল থেকে সাধারণ মানুষ সব ধরণের সেবা এবং সেবা সম্পর্কিত সব ধরণের তথ্য অনায়াসে জানা যাবে। এছাড়া মেলার আকর্ষণ বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত নান্দনিক গোহা।
তিনদিনের উন্নয়ন মেলায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, আয়কর বিভাগ, কাস্টমস বিভাগ, আবহাওয়া অফিস, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, জেলা মৎস্য অফিস, সড়ক বিভাগ, প্রাণি সম্পদ বিভাগ, বিসিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন এনজিও সহ বিভিন্ন দপ্তরের আশিটি স্টল স্থান পেয়েছে। যেখানে বিনামূল্যে সরকারী সেবাসমূহ ও তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।