প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কক্সবাজারের উখিয়ার বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। ভারত থেকে দেশে আসার পথে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে শুক্রবার বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী দীর্ঘ ৫ মাস ধরে ফুসফুসে ক্যান্সারজনিত রোগে ভোগছিলেন। আজ সোমবার বেলা ২টায় উখিয়ার চৌধুরীপাড়া এতিমখানা মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মরহুম ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, মানবজমিন’র কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক রাসেল চৌধুরীর পিতা।
অসুস্থ্য হবার পর ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা পিজি হাসপাতাল, মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গত ২৭ এপ্রিল ভারতের দিল্লীর পার্শবর্তী হারিয়ানা প্রদেশের পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত মেদান্তা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অশোক বেদ ও ডা. জয়তির তত্বাবধানে ৫ দিন আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দেন। জীবিত অবস্থায় তাকে নিয়ে বাড়ী ফেরাতে দিল্লী-কলকাতা-ঢাকা টিকেট করা হয়। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় ফণির কারণে কলকাতা এয়ারপোর্টে বিমান উঠানামা বন্ধ হয়ে গেলে দিল্লী থেকে ব্যাংকক হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে ব্যাংকক এয়ারপোর্টে শুক্রবার বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ব্যক্তিজীবনে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী সৎ, নিষ্ঠাবান, বন্ধুবৎসল ও অমায়িক লোক হিসেবে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। স্বনামখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী একজন মেধাবী সংগঠক ছিলেন। তিনি অবিভক্ত হলদিয়া ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের তিন মেয়াদে সভাপতিসহ দীর্ঘ ৩০ বছর সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থেকে দায়িত্বপালন করেন। তিনি উখিয়া কোটবাজার খেলাঘর আসর ও উখিয়া আর্টক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুকালে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী স্ত্রী, ৭ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান।
ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর মেঝছেলে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী পরিবারের পক্ষ থেকে তার মরহুম পিতার আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।