বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান অনেকদিন ধরেই নিজের আসল খেলাটা খেলতে পারছেন না। উইকেটে কেন যেন অস্থির মনে হচ্ছে তাঁকে।
পাশাপাশি বল হাতেও কেমন যেন নির্বিষ হয়ে গেছেন তিনি। হ্যাঁ, এটাই একজন ক্রিকেটারের খারাপ সময়। সাকিবের খারাপ সময়টা এমন সময় আসল, যখন দীর্ঘদিন পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলছে বাংলাদেশ। জাতি হিসেবে বাঙালি অধৈর্য এবং সমালোচক প্রকৃতির। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকেও তাই শুনতে হয়ে সাকিবের সম্পর্কে প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও টাইগার ক্যাপ্টেনের দিকে প্রশ্নের বাণ ছুটে গেল। ম্যাশ সাকিবের কাঁধে হাত রেখেই প্রশ্নবাণ সামলালেন। বললেন, ‘বড় মঞ্চে এসে বড় ক্রিকেটাররা ফর্মে থাকা ভাগ্যর ব্যাপার। সাকিব সব সময়ই করে এসেছে তার কাজ। ও সেরাটাই চেষ্টা করছে। গত ম্যাচে শুরুতে বোলিং করেছে, সেরাটা দিয়েও পারেনি। এটা নিয়ে দল এত চিন্তিত নয়। ‘
বড় ম্যাচগুলোতে সাকিবের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল বাংলাদেশ দল। অনেক বিজয়ের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এখন তিনি নিষ্প্রভ। এমনকি আস্তে ধীরে হলেও দাবি উঠছে সাকিবের বিকল্প খোঁজার! মাশরাফি তো এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। সাকিবের বিকল্প খোঁজার সময় আসতে আরও অনেক বাকি। সাকিব মানে সাকিবই। বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার, দলের সম্পদ। মাশরাফি তাই দায়দায়িত্ব নিতে বললেন সবাইকে।
ম্যাশের ভাষায়, ‘ও যদি ওর লেভেলে খেলতে না পারে, তাহলে দলের অন্যদের অবদান বাড়াতে হবে। একটা দলে একজন ফর্মহীনতায় ভুগতেই পারে। টপ ক্রিকেটার সব সময়ই একই ফর্মে খেলে যাবে, এটা আশা করাও কঠিন। কিংবা এমনটা হতে পারে, উইকেটের কারণেই ও যেটা চাচ্ছে, সেটা হচ্ছে না। ও যদি খারাপ করে, আমাদের জন্য ওই টুর্নামেন্ট হয়তো কঠিন হবে। তবে সাকিব ফিরে আসবে কিনা বা টপ প্লেয়ার কিনা, এসব নিয়ে আমাদের সংশয় নাই। ‘
ওয়ানডে অধিনায়কের কাছ থেকে এমন একটা সার্টিফিকেট পেয়ে সাকিবের মনোবল নিঃসন্দেহে বেড়ে যাবে। নিজের ছন্দে ফেরার পথে আরও একটু এগিয়ে যাবেন। আর সাকিবের ফিরে আসা মানে বাংলাদেশের হাসি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।