৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১৭ মাঘ, ১৪৩১ | ৩০ রজব, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক   ●  অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার   ●  হলদিয়া বিএনপি উত্তর শাখার সাংগঠনিক পদে প্রার্থীতা করবেন মোহাম্মদ হেলাল 

সাগর পথে প্রথম মানপাচারকারী হোছন বাহিনী এখনো নিরাপদে!

hosan-1

মালয়েশিয়ায় সাগর পথে মানব পাচার করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এক শীর্ষ মানব পাচারকারী অপর তার দুই সহযোগি এখনো অধরায় রয়ে গেছে।তাদের পাচার করা অসংখ্য মানব মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীর গুলি ও থাই সেনার গুলিতে হতাহত সহ থাইল্যান্ডের পাহাড়ে সমাধিও সাগরে মাছের খোরাক হয়েছে।ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের গভীর অরণ্যে গণকবর সন্ধানের পর স্বজনদের মাঝে কান্না, উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।বর্তমানে মানব পাচার কারী হোছন আহমদ, আব্দুল মালেক,জুলফিকার আলী প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করছে।তাদের আটক করলে সাগর পথে মানব পাচারের সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায়. হোয়াইকং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং এলাকার মৌলভী আব্দুল আলীমের পুত্র হোছন আহমদ ১৯৯১ সালের শুরুর দিকে চায়না তালা,কারেন্টজাল,বেনসন সিগারেটের চোরাচালান ব্যাবসা করে হ্নীলা এলাকার কয়েকজনের টাকা নিয়ে তৎকালে উধাও হয়ে প্রকাশ্যে সড়ক ডাকাতি সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তারই অংশ হিসেবে তৎকালে কক্সবাজার সী-ফুডস এর চিংড়ি মাছ বাহী গাড়ী ডাকাতি করে দীর্ঘ দিন পালিয়ে বেড়ার পর অবশেষে মালয়েশিয়া পালিয়ে যায় হোছন আহমদ। সে খানে বর্মী নাগরিকের পাসপাের্ট গ্রহন করে এক মালয় মহিলা কে বিয়ে করে।পরে বছর দুইএক পর থাইল্যা্েডর এক থাই মহিলা কে বিয়ে করে।এর পর শুরু করে মানবপাচার ব্যাবসা।এক কালের আন্ডার ওয়াল্ড টেরর প্রথমে আকাশ পথে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে রাজধানী ঢাকার জনৈক চৌধুরীর মাধ্যমে পাচার কাজ পরিচালনা করে টেকনাফ উপজেলার অসংখ্য মানুষ কে পথে বসিয়েছে বাংলা হোছন। এর পর হোছন আহমদ মালয়েশিয়া নিয়ে যাবে বলে হ্নীলা রংগীখালী,মিনা বাজার,কান্জর পাড়া,লম্বাবিল হোয়াইক্যং এলাকার অসংখ্য মানুষের টাকা আত্বসাত করে দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়ায় আত্বগোপনে ছিল হোছন।পরে গোপনে ঢাকা এসে ২০১১ সালে সাগর পথে সর্ব প্রথম মানব পাচারের কৌশল ঠিক করতে ১৫জন দালাল নিয়ে ঢাকা ও চট্রগ্রামে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করে। প্রথমে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা থেকে একটি ট্রলার করে কুতুবদিয়া চ্যানেল হয়ে টেকনাফের সাবরাং অতঃপর মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তাদের ট্রলার।প্রায় ২০/২৫ দিন পর থাইল্যান্ডের উপকূলে ধরা পড়ে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে। সু-চতুর হোছন আহমদ ওরফে বাংলা হোছন থাই সরকারের এক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদ্য গ্রেপ্তারকৃত সে দেশের এক মেয়র কে ম্যানেজ করে তাদের মুক্ত করে আনে।এভাবে সাবরাং,শাহপরীরদ্বীপ,টেকনাফ কচুবনিয়া,উখিয়ার সোনাপাড়া,হিমছড়ি,কুতুবদিয়া-মহেশখালী ও যশোর কুষ্টিয়া,নড়াইলের বিভিন্ন দালাল দিয়ে মানব পাচারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। টেকনাফ ইসলামী ব্যাংক ও কক্সবাজারে একটি বে সরকারী ব্যাংক জানিয়েছে-হোছন আহমদের এক ভাই ও এক বোনের একাউন্টে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২বছরে প্রায় ১৫/২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।তার ঘনিষ্ট বিশ^স্থ এক বোনের একাউন্টে মানব পাচারের প্রায় কয়েক কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। সাউথইষ্ট ব্যাংকে ও রয়েছে তাদেও বিশাল টাকার ভান্ডার। একজন মহিলার একাউন্টে এত মোটা টাকার লেনদেন সাধারন মানুষ কে ভাবিয়ে তুলেছে।বর্তমানে হোছন আহমদ সদ্য তার নিজস্ব ক্রয়কৃত জায়গায় ফিলিং ষ্টেশন,রইক্ষ্য এলাকায় একটি ইটের ভাটা করার পরিকল্পনা শুরু করেছে।অপর একটি গোপন সূত্রে জানা যায়, হোয়াইক্যং এলাকার চিহ্নিত মানব পাচারকারী হোছন আহমদ গংদের সন্দেহজনক অস্বভাবিক লেনদেনের ব্যাপারে দুদকে ও নালিশী অভিযোগ পড়েছে বলে জানান দুদকের নিয়োগ প্রাপ্ত পিপি এডভোকেট আব্দুররহীম।
অপর দিকে টেকনাফে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে নিহত ধলু হোছন তার অন্যতম সহযোগি বলে জানা গেছে।এদিকে বর্তমানে মানব পাচার কে পুঁজি করে তৎকালের আন্ডার ওয়াল্ডের নেতা হোছন আহমদ দোকান মার্কেট বিলাস বহুল বাড়ী সহ অনেক সম্পদের মালিক বনে গেছেন।ইতিমধ্যে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যায় করে সদ্য নির্মিত বাড়ীতে ৫৩ বছর বয়সী হোছন আহমদ ৩য় বিয়ে সম্পন্ন করেছেন আরেক বিবাহিতা কে দিয়ে।সেই নতুন বিয়েতে ও জ¦লছে অশান্তির আগুন।হোছনের আরো দুই স্ত্রী থাকার বিষয় গোপন রাখায় উক্ত সংসারে অশান্তি বিরাজ করে বলে এলাকাবাসী জানায়। এলাকা সূত্রে আরো প্রকাশ যে,বিগত ৪-৫ বছর ধরে সাগর পথে মানবপাচারে জন্য তার ভাতিজা জুলফিকার,মালেক,শাহেদ সহ আরো বেশ কয়েকজন কে দিয়ে মানব নামক(দালালদের ভাষায় বস্তা) সংগ্রহ করতে মাসিক ১০হাজার,৭হাজার,৬হাজার সহ বিভিন্ন কেটাগরির বেতন ভূক্ত প্রায় ৭/৮জন দালাল রয়েছে।টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার কান্জর পাড়া,রইক্ষং, কুতুব দিয়া পাড়া, লম্বাবিল, ফালংখালী তে রয়েছে তার তাদের বিশাল সিন্ডিকেট।তারা হারদম মানুষ সংগ্রহ করে কমিশনের ভিত্তিতে।তাদের কে শেল্টার দেয় হোছন আহমদের দুই ভাগ্নে।হোছন আহমদের এক ভাগ্নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমরর্ত থাকায় সে বার বার প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে যায়।বর্তমানে তার সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে জনৈক আব্দুল মালেক গং।উখিয়ার এক সিনিয়ির সাংবাদিক প্রতিবেদক কে জানান,উনছিপ্রাংএর জনৈক আমির হামজার পুত্র আব্দুল মালেক দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষকতার ছদ্মবেশে মানবপাচার করে আসছিল।উখিয়ার বেশ কয়েকজন তার পাঠানো যুবকের এখনো হদিস নেই।কয়েকজনের ক্ষতিপুরন ও আব্দুল মালেক ইতিমধ্যে দিয়েছে।মানব পাচারের দায়ে তার ভাই জাহাংগীর প্রায় বছর খানেক মালয়েশিয়ার কারাগারে সাজা ভোগ করে।এ ব্যাপারে হোছন আহমদ,সাহেদ,জুলফিকার ও মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা বেশির ভাগ আত্বগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।