ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সচেতন হিন্দু শিক্ষার্থীবৃন্দ’, ‘সাধারণ হিন্দু শিক্ষার্থীবৃন্দ’, ‘সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ’, ‘রমনা কালি মন্দির ও আনন্দমীয় আশ্রম পরিচালনা পরিষদ’সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নিয়েছেন। সড়ক বন্ধ থাকায় শাহবাগ হয়ে কোনো দিকেই যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টায় জগন্নাথ হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হয়ে মিছিল করে শাহাবাগে আসেন।
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচিতে থাকা কয়েকটি সংগঠনও এ সময় শাহবাগে অবস্থান নিয়ে অবরোধে যোগ দেয়।
মানিক রক্ষীত নামের এক শিক্ষার্থী সমাবেশে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সনাতন ধর্মের মানুষদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে গড়ার কথা বলেছিলেন আজও তা হয়নি। এখনও সনাতন ধর্মের মানুষের উপর নির্যাতন চলছে, এটা দুঃখজনক।”
সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা জানিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, হামলাকারীদের বিচার না হওয়ায় মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ফের হামলা করার সাহস পাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অপসারণও দাবি করেন বিক্ষোভকারীদের অনেকে।
এছাড়া নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।