রাজধানীসহ সারাদেশে রাস্তা বা ভবনের গা ঘেঁষে বসানো হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এসব ভবনের জানালা বা বারান্দার খুব কাছ দিয়ে চলে গেছে বিদ্যুতের তার। ডিশ, টেলিফোন ও ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে ভয়ঙ্কর এক জঞ্জাল অবস্থা। বিদ্যুতের তার থেকে ঘটছে দুর্ঘটনাও। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে দেশের বিভাগীয় শহরসহ সারাদেশে রাস্তা খুঁটি ও তারমুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইনের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সারাদেশে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) প্রতিষ্ঠানটির অধীন চারটি বড় শহরে মাটির নিচে বিদ্যুতের তার নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি এনার্জি ট্রোন এবং আর অ্যান্ড ডিকেআইএস গ্রুপকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এ উপলক্ষে এই চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মংসিংহ ও কুমিল্লা শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিকভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হবে। পরবর্তীতে এর আওতায় যশোর, খুলনা, রাজশাহী এবং এ শহরগুলোর সংলগ্ন এলাকায় এই ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঝুলন্ত বিদ্যুতের লাইনের ফলের গাছে শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হয়। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। ২০০৯ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী এটা করতে নিষেধ করেছেন। এছাড়া মাটির নিচে কিছু সাব-স্টেশনও প্রতিস্থাপন করা হবে।
এদিকে এ প্রকল্পে মাটির নিচ দিয়ে লাইন নিতে যতটা সম্ভব কম খোঁড়াখুড়ি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম এলাকা হিসেবে সিলেটে নগরের হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকায় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার পর পরীক্ষামূলক সঞ্চালন চালানো হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।