২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

সার্চ কমিটি নিয়ে কোনও বিতর্ক হতে পারে না: আ.লীগ

ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানালেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করে, এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক হতে পারে না। এই ইস্যুতে বিএনপির বিরূপ প্রতিক্রিয়া মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করবে বলেও মনে করে দলটি। দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা দেওয়া আছে। তারপরও তিনি মাসব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। ফলে এই কমিটি নিয়ে কোনও বিতর্ক হতে পারে না। এই কমিটি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলাপে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সংবিধানের ৪৮/১১৮ ও ১১৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের অর্পিত এই ক্ষমতা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তারপরও তিনি রাষ্ট্রের অভিবাবক হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মাসব্যাপী বৈঠক করেছেন। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। এরপরও যারা সার্চ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা আসলে এই কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলা ট্রিবউনকে বলেন, ‘সার্চ কমিটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে না। এটা কাম্য নয়।’ তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি খোলা মন নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন, সার্চ কমিটি প্রস্তাব করেছেন। এই নিয়ে কারও কোনও কথা বলা ঠিক হবে না।’ সুরঞ্জিত আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির এ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীরও কথা বলার ক্ষমতা নাই। বিএনপি এই ইস্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে পানি ঘোলা করতে পারে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হবে না।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সার্চ কমিটি করেছেন। এই নিয়ে কথা বলে বিতর্ক তৈরি করা বা পানি ঘোলা করার চেষ্টা করা ছাড়া আর কোনও লাভ হবে না।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ইস্যুতে বিতর্ক তুললে মানুষের ভেতরে বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করে বলে যে ধারণা আছে, সেই ধারণা আরও মজবুত হবে।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার দূরদর্শী চিন্তা দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। তার আগে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সংলাপ করেছেন। সংবিধান তাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিলেও তিনি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের পরামর্শ শুনেছেন। তাই এই ইস্যু নিয়ে আর বিতর্ক করা চলে না।’
সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘সমালোচনার খাতিরে সমালোচনা সুস্থ রাজনীতির চর্চা নয়, যা বিএনপি করছে। সার্চ কমিটি নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি সবার জন্য দুভার্গজনক হবে।’
প্রসঙ্গত, নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরীণ আখতার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।