সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
বুধবার বেলা দেড়টায় প্রধানমন্ত্রী সিলেট জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সদর দফতর ১১ ব্রিগেডসহ নয়টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন শেষে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের গুণগত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আওতায় তিন বাহিনী পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণ এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন পদাতিক ডিভিশন বেশ কিছু ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করে।
এর আগে বেলা ১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসে অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে সশস্ত্র সালাম জানায়। এরপর ১টা ১৫ মিনিটে তিনি সদর দফতর ১১ পদাতিক ব্রিগেড ও নয়টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমদ সিদ্দিক, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া জয়নুল আবেদীন, বীর-বিক্রম, সিলেট সেনানিবাসের ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।