তিনি গতকাল সোমবার ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি-কে তার এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘যদি তার (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে মামলা করা হোক। কিন্তু দয়া করে তাকে বাঁচিয়ে রাখুন।’
তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সালাহ উদ্দিনকে রাজধানীর একটি বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ নিখোঁজের ঘটনায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও সিআইডি আদালতের নির্দেশে দাখিল করা প্রতিবেদনে গ্রেপ্তারের কতা অস্বীকার করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে সরকারের নির্দেশে সালাহ উদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মানবাধিকারকর্মী আইনজীবীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তাকে বিচার ছাড়াই হত্যা করা হতে পারে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সালাহ উদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে এবং তিনি এখন তাদের কাছেই রয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ বশিরুল্লাহ এএফপি- কে বলেছেন, ‘হাইকোর্টে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়েছে, তারা সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেননি এবং তিনি তাদের হেফাজতেও নেই।’
বিগত মাসগুলোতে বিএনপির নিখোঁজ হওয়া বেশ কয়েক নেতার মধ্যে সালাহ উদ্দিনও একজন বলে বার্তাসংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।