রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় কঠোরতা অবলম্বন করছেন বিজিবি। এরমধ্যেও দিন-রাতে আধাঁরে কিছু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ। তিনি জানান, বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় রোহিঙ্গারা ঢুকতে পারছেনা।
এদিকে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে টেকনাফের উনছিপ্রু, ওয়াব্রাং, জাদিমুরা সীমান্তবতী পয়েন্ট দিয়ে কিছু রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি পরিবারের লোকজন ছোট ছেলে-মেয়েকে কোলে করে ও স্ত্রীসহ পরিবার পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা যোগে টেকনাফে অনুপ্রবেশ করে।
এছাড়া এদিকে শুক্রবার ভোরে সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৭৮জন রোহিঙ্গাকে আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ। তিনি জানান, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুবেশ ঠেকাতে বিজিবি কড়া নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। এসময় টেকনাফ উপজেলার তিনটি পয়েন্টে দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৮জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে স্ব স্ব পয়েন্ট দিয়ে সকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠনো হয়েছে। এরমধ্যে ৩১-শিশু, ৩০-নারী ও ১৭-পুরুষ ছিল।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিজিবির সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে এবং স্থানীয় জেলেদের নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম না করে দেশের অভ্যন্তরে মাছ ধরার পাশাপাশি রাতের বেলায় মাছ না ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ চেষ্টা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবিকে অবহিত করার জন্য বলা হচ্ছে।
এরআগে গত তিনদিনে টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকার সময় বাধাঁ প্রদান করেন বিজিবি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সতর্ক রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশের সময় প্রতিদিন রোহিঙ্গা ধরাও পড়ছে।
টেকনাফ ২বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ৬৩কিলোমিটার জলপথের শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বিজিবির পক্ষে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।