২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

‘সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছি’- জেলা প্রশাসক

বিশেষ প্রতিবেদক:

সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি,  পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছেন। যেখানে সীমান্তের নিকটবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। কেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কেন্দ্রটি উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছি। সীমান্তের কাছাকাছি যারা বসবাস করছে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ারও প্রক্রিয়া চলমান। এটা সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে কিভাবে আমাদের সীমান্তবর্তী লোকজনদের নিরাপদে রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা  ব্যবস্থা নেবো।শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছে। একই সঙ্গে সীমান্তের নিকটে ঝুঁকিপূর্ণদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে এসব এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি সার্বিক পর্যাবেক্ষণ করা হচ্ছে। রোববার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জড়িত সকল প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে। সভার সিদ্ধান্ত মতে ঝুঁকিপূর্ণদের তালিকা প্রস্তুত রয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। শুক্রবার এপারে মর্টার শেল এসে হতাহতের পর একটু উদ্বেগ থাকলেও পুলিশের পক্ষে প্রশাসনের নিদের্শনা মতে কাজ করার প্রস্তুতি রয়েছে।

উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ১২ টার দিকে পৌঁছেন ঘুমধুম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করেন তাঁরা। এরপর ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে যান।

গত মধ্য আগস্ট থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনার পাড়া, উত্তর পাড়া ও বাইশফাঁড়িসহ বিভিন্ন সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্টির মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। যা এখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত জুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই চলছে দিনে ও রাতে থেমে থেমে গোলাবারুদ বর্ষণ। মাঝে মধ্যে হেলিকপ্টার ও ফাইটিং জেট বিমান থেকে ছোড়া হচ্ছে গোলাবারুদ। শুক্রবার রাতে ঘুমধুমের কোনার পাড়া সীমান্তের শূণ্যরেখার আশ্রয় ক্যাম্প ও তুমব্রু সীমারোক আঘাত হানে মিয়ানমারের ছোড়া ৫ টি মর্টার শেল। এতে মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। ওই দিন দুপুরে ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের শূণ্যরেখায় মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে একটি পা হারায় স্থানীয় তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের এক যুবক। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। এর আগেও মিয়ানমারের ছোড়া দুইটি মর্টার শেল ঘুমধুমের উত্তর পাড়া সীমান্তে আঘাত হানলেও অবিস্ফোরিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।এ ধরণের ভীতিকর পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে ঘুমধুম সীমান্তের ৩৫ টি স্থানীয় পরিবার অন্যত্রে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।