২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মরিয়া বিজিবি

UKHIYA PIC 16.03.2015(1)
কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ রোহিঙ্গা নারী- পুরুষ- শিশু অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু কিছু অনুপ্রবেশকারী সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র হাতে আটক হলেও দালালের মাধ্যমে যেসব রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে তারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ধারাবাহিকতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির দৈনন্দিন জীবন যাপনে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। গত আড়াই মাসে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিককে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করণে জন্য এক মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারস্থ বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ খালেকুজ্জামান বলেছেন, এদেশের জন্য রোহিঙ্গারা বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্বভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা উদ্বিগ্ন। এসব রোহিঙ্গারা জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অনৈতিক পেশায় জড়িত হওয়ায় এলাকার বিদ্যমান সামাজিক ব্যবস্থা বিপন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, স্থানীয়রা চাইলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেহেতু যেসব দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে ওইসব দালালদের চিহ্নিত করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করলে তারা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। কারণ রোহিঙ্গা একটি জাতীয় সমস্যা। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন করে রোহিঙ্গা প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে উঠুন। এব্যাপারে বিজিবি সদস্যরা সার্বিক সাহায্য সহযোগীতা করতে বদ্ধপরিকর। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াৎ মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম। স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ, প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ঘুমধূম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর, দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির আহমদ, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক, ইউপি সদস্য সুব্রত বড়–য়া, আব্দুল গফুর, আব্দুল করিম প্রমুখ।
কক্সবাজার বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খালেকুজ্জামান জানান, গত আড়াই মাসে উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আড়াই হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদিকে কক্সবাজার ১৭ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম জানিয়েছেন, চলতি মার্চ মাসের গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৪৬২ জন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। উখিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে  বিজিবি’র উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সীমান্তে বসবাসকারী নাগরিক ছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি দালালদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।