সম্প্রতি টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে হাম রোগীর সন্ধান পাওয়ায় এই রোগের প্রার্দূভাব ঠেকাতে উপজেলার ১শ ৭০টি কেন্দ্রে পক্ষকাল ব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
গত ২৯এপ্রিল হতে শুরু হওয়া ১৪মে পর্যন্ত ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও সূর্যের হাসি ক্লিনিক বাস্তবায়নে পক্ষকাল ব্যাপী পুরো জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতো সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ২৮টি, পৌরসভায় ২৪টি,সেন্টমার্টিনে ১২টি এবং হ্নীলা,হোয়াইক্যং,সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নে ২৪টি করে কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে শিশুদের পর্যায়ক্রমে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তি ও রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে ৮টি করে সেন্টারের মাধ্যমে এই হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আউটরিস সেন্টার হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এবং হ্নীলা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে এই কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমে জনসাধারণকে উদ্ব্যুদ্ধ করছেন এনজিও সংস্থা শেড,ব্র্যাক,বাংলাদেশ-জার্মান সম্প্রীতি,হিতৈষী বাংলাদেশসহ স্থানীয় সচেতন মহল। এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন বড়–য়া জানান,বছরের যেকোন সময় ২/১বার হাম হতে পারে। কিন্তু সীমান্ত জনপদ টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও হাম রোগীর সন্ধান পাওয়ায় শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে পক্ষকাল ব্যাপী হাম-রুবেলার ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। হ্নীলা সূর্যের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার বাবু অজয় কুমার চৌধুরী বলেন,উপজেলাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় চোরাচালান ও নানাবিধ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই হামের উপদ্রব ঠেকাতে এই বিশেষ ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর হতে মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার জেরধরে টেকনাফ সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে বৃদ্ধি পায়। তাদের অনুপ্রবেশের পর উপজেলায় ২৭জন হাম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরই সুত্রধরে ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ পর্যবেক্ষণের পর অত্র এলাকার বিশেষ করে শিশুদের নিরাপত্তার লক্ষ্যেই অগ্রিম এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।