বার্তা পরিবেশক:
ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকে কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন কক্সবাজারশহরের সুগন্ধা সী–ইন পয়েন্টের বাইতুর মামুর মসজিদের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছেলিখিত আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী নেতৃবৃন্দ। একই সাথে মসজিদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদনদেন এবং মসজিদ পরিচালনার হিসাব পেশ করেছেন।
আবেদনপত্রে মসজিদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেয়ার বছর–দুয়েক পর দেশে বৈশিক মহামারী করোনাকাল শুরুহয়। দু’বছর যাবত দেশে প্রায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার আওতায় কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় একেবারে বন্ধ ছিল।
সম্প্রতি সৈকতের চিহ্নিত ভূমিদস্যু এবং মাদক ব্যবসায়ী চক্র ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবংবায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহসীন শেখ, মসজিদ কমিটির সহ–সভাপতি লালমিয়া (মসজিদেরপ্রতিষ্ঠাতা সভাপতি) এবং কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন সহ মসজিদের কমিটির আরো কয়েকজন ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহবিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরপূর্বক নানাভাবে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি তাদের গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রেলিপ্ত রয়েছে, জালাল আহমদ, মোঃ রুবেল, মোঃ দানু মিয়া, মোঃ ফরিদ আলম, মোঃ সেলিম, মোঃ ইউনুছ, জামাল হোসেন, মোঃজাকির হোসেনসহ আরো কয়েকজন।
ভুক্তভোগী মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, ওই ব্যক্তিরা আমাদের বিরুদ্ধে উক্ত বায়তুল মা’মুর জামে মসজিদের৩০/৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছি মর্মে জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশসহ মানববন্ধন করেছে। যাগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের পেশাগতসহ সামাজিক বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যস্তথাকার ফলে তিনি নিয়মিত মসজিদে যেতে পারেন না। মসজিদে প্রতি জুমাবার মুসল্লিদের প্রদত্ত দান–দক্ষিণার মাধ্যমে যেরূপআয় হয়ে থাকে তা দীর্ঘ ৭/৮ বছরের দায়িত্ব পালনরত একজন সৎ ও স্বচ্ছ হিসাব রক্ষাকারী কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে ও মসজিদকমিটির অন্যান্য সদস্য তথা যারা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে, তাদর উপস্থিতিতে ও স্বাক্ষরে মসজিদের আয়ের টাকাপ্রকাশ্যে গণনা করে হিসাব–নিকাশ সম্পন্ন করা হয়। এ যাবৎকালে মসজিদের সকল হিসেবনিকেশে বর্তমান মসজিদ কমিটিরবিরুদ্ধে উল্লিখিত অপপ্রচারকারী, অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন এবং হিসেবে তারা স্বাক্ষর করেছেন।
বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ সহ সকলেই আন্তরিকতা, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মসজিদের খেদমত করেআসছেন। সুতরাং কমিটিতে কারচুপি কিংবা দুর্নীতি কিংবা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই।
আবেদনপত্রে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, একটি বাস পরিবহনের এক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন মসজিদের সদস্য।কিন্তু কুচক্রী মহলটি ‘আমরা কক্সবাজারবাসীর’ সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মসজিদের কোনপ্রকার সদস্য না থাকার পরওউক্ত সামাজিক সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন করার নিমিত্তে উক্ত নাজিম উদ্দিনকে মসজিদ সংক্রান্তে দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগেজড়িত করা হয়েছে। যাতে ওসব ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে না পারেন।
প্রকৃতপক্ষে সৈকতের ঝুপড়ী ব্যবসায়ী নামধারী ও পাহাড় খেকো ব্যক্তিরা সকলেই একজোট হয়ে মুলত: মসজিদ কমিটিরনেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগযথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমি কখনওসুগন্ধা বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটিতে ছিলামনা এবং এখনও নেই। কিন্তু সম্প্রতি আমার সংগঠন যখনই সৈকত এখনবাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন এবং পাহাড় খেকোদের গ্রেফতারের দাবিতে লাগাতারআন্দোলনের ডাক দেয় ঠিক তখনই সৈকতের বালিয়াড়ি এবং পাহাড় খেকোরা এক হয়ে উক্ত পবিত্র মসজিদকে নিয়ে আমি এবংআমার সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা৷ বানোয়াট এবং কাল্পনিকভাবে মারাত্নক অপপ্রচারে নেমেছেন। আমিএ ঘটনায় জড়িত সকল অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।