শাহেদ মিজান:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ১২শ পর্যটককে সোমবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় আটকে পড়েন তারা।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। তবে এর প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেওয়া ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। রোববার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে ওইসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
সতর্ক সংকেতসহ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আবুল হোসেন জানান, আগে থেকে রুম বুকিং দিয়েছিলাম, তাই এখানে এসে সময় পার করছি। তবে এ আবহাওয়াতে ভালোই লাগছে।
এখনো বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল। তবে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ১২শ পর্যটক ভালো আছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, শনিবার রাতের মধ্যে কক্সবাজারের সব মাছ ধরার ট্রলার ফিরে আসে সাগর থেকে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, কক্সবাজার বিমান বন্দর সচল রয়েছে। রোববার সবগুলো নিয়মিত ফ্লাইট ওঠানামা করছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ১২শ পর্যটকের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সোমবার আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে তাদেরকে জাহাজে করে টেকনাফে নিয়ে আসা হবে। বুলবুলে কক্সবাজারে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, দমকা ও ঝড়ো হওয়া অব্যাহত থাকবে দুই দিন। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।