বিশেষ প্রতিনিধি:
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা, যৌন নির্যাতন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, সাড়া প্রদান এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) ও এডুকো বাংলাদেশ একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে সহায়তা করছে এডুকো বাংলাদেশ।
২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে উখিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) -এর চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমার সভাপতিত্বে প্রকল্পটির অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডুকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল হামিদ।এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এডুকো’র হিউম্যানিটেরিয়ান প্রজেক্ট প্রধান সুমী আক্তার শিউলি। প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: হাতেম আলী।অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম,রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সালাহউদ্দিন, উখিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন শারমিন, পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প (পজীপ)কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল ইসলাম, এডুকো’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক পংকজ ময় ত্রিপুরা , জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, FIVDV প্রতিনিধি হাসান আহমদ,রুমখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন, উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডুকো’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল হামিদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে প্রকল্পটির সহযোগী সংস্থা স্কাস চেয়ার পার্সন জেসমিন প্রেমা বলেন- বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় কমিউনিটির শিশু এবং কিশোর -কিশোরীরা যেহেতু সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে তাই তাদের প্রতি সকলের একটি বিশেষ দৃষ্টি রাখা দরকার।তিনি বলেন বিপুল সংখ্যক নারী ও কিশোরী পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের অব্যাহত শিকার। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় নারী ও কিশোরীরা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হয়। নারীবান্ধব নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। শিশু শ্রম নিরসন ও শিশু সুরক্ষার জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আইএনজিও /এনজিও এবং স্থানীয় কমিউনিটির সচেতন জনগোষ্ঠী এগিয়ে আসতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এডুকো’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ফাতেমা বেগম।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।